ট্যাবলেট, ল্যাপটপ কম্পিউটার নয় শুধু মোবাইল ফোনেই ব্যবহার হচ্ছে ৬০০ কোটি সিম। সিমের বিশাল এই পরিসংখ্যান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার কাছাকাছি।
জাতিসংঘের টেলিকম এজেন্সি তাই বলছে, বিশ্ব জনসংখ্যার হিসাব মোতাবেক মোবাইল গ্রাহক সংখ্যাও বেশ। তবে ২০১১ সালের শেষ পর্যন্ত ১৫৫ টি দেশের মধ্যে চালানো গবেষণার ফলাফল এটি। ইন্টারন্যাশনাল
টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন ‘মেজারিং দ্যা ইনফরমেশন সোসাইটি ২০১২’ শীর্ষক এ গবেষণা পরিচালনা করে। তাদের এই পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে দেখা গেছে ১ বিলিয়নের মত শুধু গ্রাহক আছে চীনেই।
যেসময় বিশ্বের ১৫৫ টি দেশে মোবাইল এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ব্যবহারকারীদের প্রবেশ এবং ব্যবহারের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এজেন্সির ড্যাটা বিভাগের প্রধান সুসান টেল্টসার এ প্রসঙ্গে জানান, মোবাইল কিংবা গ্রাহক নয় এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সিম কার্ডের হিসাব করা হয়েছে। সুতরাং একজনের যদি ডুয়্যাল সিমের ফোন হয় সেক্ষেত্রে দুটির হিসাব করা হয়েছে এছাড়া মাসভিত্তিক সাবস্ক্রিপশন গণনায় রাখা হয়। ট্যাবলেট ল্যাপটপ হিসাবের আওতায় ছিলনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জেনেভা-ভিত্তিক সংস্থাটি এছাড়াও জানান, গবেষণা পরিচালনার সময়সীমায় বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা প্রায় ২ বিলিয়ন শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল। উন্নত দেশগুলোতে অনলাইন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭০ ভাগ। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলো সে তুলনায় অনেক পিছিয়ে এখানকার মাত্র ২৪ ভাগ মানুষ অনলাইন ব্যবহার করে।
আরও বলা হয় বিশ্বব্যাপী ফিক্সড ব্রডব্র্যান্ডের তুলনায় মোবাইল ব্রডব্যান্ডের ব্যবহার প্রায় দ্বিগুণ। আইটিইউ’র টেলিযোগাযোগ উন্নয়ন ব্যুরো পরিচালক ব্রাহিমা সানাও বলেন, উন্নত দেশে মোবাইলে ব্রডব্র্যান্ডের অধিক ব্যবহার নতুনদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু অনেক নিম্ন-আয়ের দেশে ইন্টারনেটের দাম তুলনামূলক অনেক উচ্চে অবস্থান করছে।
উল্লেখ্য, ১৪ অক্টোবর দুবাইয়ে আয়োজিত ‘আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড ২০১২’ তে আইসিটি শিল্পের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো একসাথে বসবে। বিশ্ব নেটওয়ার্কিং ও এর অভিজ্ঞতা নিয়ে মতবিনিময়ে অংশ নিবে তারা। ৩ শ’র মত বিশ্ব নেতা এই আলোচনাসভায় অংশগ্রহণের প্রত্যাশা করেছে । বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীবর্গ, নিয়ন্ত্রকবর্গ, শিক্ষাবিদ এবং সিসকো, ক্যাসপারস্কাই ল্যাব, হুয়াওয়ে, ভেরিজন, কোয়ালকম, এরিকসনের মত বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বৈঠক করবে।
বাংলাদেশ সময় ১৫১১ ঘন্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১২