ঢাকা: দেশজুড়ে উদীয়মান উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নেয়া ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি জিপি এক্সিলারেটরের ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’র সাফল্য উদযাপন করেছে গ্রামীণফোন।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে গালা নাইট আয়োজনের মাধ্যমে অনুপ্রেরণামূলক এই উদ্যোগ উদযাপন করে অপারেটরটি।
কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল, প্রতিভাবান তরুণদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধি, নেটওয়ার্কিংয়ে সুযোগ তৈরি এবং যথাযথ দিকনির্দেশনার মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক ও আর্থিক সাফল্যকে বেগবান করা।
দেশের সম্ভাবনাময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলো বাস্তবে রূপ দিতে উদ্যোগটি নেওয়া হয়। এই উদ্যোগের আওতায় দেশব্যাপী ২০টি অঞ্চলে নিবিড় প্রশিক্ষণ কর্মশালার (বুটক্যাম্প) মাধ্যমে ৫ হাজার ২০০ এর বেশি স্টার্টআপকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের উদ্যোক্তা গড়ে তোলার পরিবেশকে সুগম করেছে।
গালা নাইটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২০ জন বিজয়ী স্টার্টআপের সাফল্য উদযাপন এবং কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৩০ জন কমিউনিটি বিল্ডারের অসামান্য ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিক, গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্টরা।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে গ্রামীণফোনের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সত্যিই প্রশংসনীয়। তরুণরাই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি। তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় সম্পৃক্ত করতে অপারেটরটির যে প্রচেষ্টা তা সত্যিই প্রশংসনীয়; এই উদ্যোগ তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদ তরুণদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোনের লক্ষ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তরুণ উদ্যোক্তাদের মাঝে অসাধারণ সম্ভাবনা দেখেছি। আজ আমরা সেই ২০ জন বিজয়ী উদ্যোক্তার (স্টার্টআপের) সাফল্য উদযাপন করছি, যারা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা ও দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে নিজেদের বিশেষত্ব তুলে ধরেছেন।
২০১৫ সালে কার্যক্রম চালুর পর থেকে দেশের স্টার্টআপ খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে জিপি এক্সিলারেটর। এটি ৫০টি স্টার্টআপের মাধ্যমে ৫ লাখ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। একইসাথে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে জিপি এক্সিলারেটর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৫
এমআইএইচ/এমজেএফ