ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

উইন্ডোজের দায়িত্বে গ্রিন

শেরিফ সায়ার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১২
উইন্ডোজের দায়িত্বে গ্রিন

সম্প্রতি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বিভাগ থেকে পদত্যাগ করলেন সিনোফস্কি। প্রযুক্তি বিশ্বে হৈ চৈ শুরু হয়ে গেল।

দু সপ্তাহ আগেও যিনি উইন্ডোজ ৮ নিয়ে বারবার সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে আসছিলেন।

এ মানুষটি হুট করেই কেন মাইক্রোসফট ছাড়বেন! কয়েক ঘণ্টা পরই স্টিভ বলমার ইমেইলের মাধ্যমে ঘোষণা দিলেন, জুলি লারসন-গ্রিন হতে যাচ্ছেন মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান।

এ রদবদলে প্রযুক্তি বিশ্বে নারী নেতৃত্ব যেন আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এমন মন্তব্য করেছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞেরা। তারা উল্লেখ করেছেন, ফেসবুকের স্যান্ডবার্গ এবং ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী মারিসা মায়েরের পর মাইক্রোসফটের এ সিদ্ধান্ত প্রশংসাযোগ্য।  

প্রসঙ্গত, জুলি লার্সন ১৯৯৩ সালে ভিজ্যুয়াল সি++ দলের সদস্য হিসেবে মাইক্রোসফটে যোগ দেন। মাইক্রোসফটের বিভিন্ন প্রডাক্ট আইডিয়া থেকে শুরু করে গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করেছেন লার্সন।  

লার্সন মাইক্রোসফট ‘অফিস সফটওয়্যার’ ডিজাইনের সময় সিনোফস্কির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তার কাছ থেকেই কাজ শিখেছেন লার্সন। তবে তিনি প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন আইডিয়া দিয়ে মাইক্রোসফটকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করতেন। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ডিজাইনের সময়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন জুলি লার্সন।

সর্বশেষ উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮ প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ইন্টারফেস ডিজাইন, গবেষণা এবং ডেভেলপমেন্টেও সরাসরি যুক্ত ছিলেন জুলি।
 
তবে উইন্ডোজ বিভাগের প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিনোফস্কির প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে ভুল করেননি লার্সন। তিনি বলেন, মাইক্রোসফটকে এগিয়ে নেওয়ার পেছনে তার ভূমিকা কখনই ভুলবার নয়। উইন্ডোজ ৮ দিয়ে তিনি সর্বশেষ নিজেকে প্রমাণ করে গেছেন। তার দেখানো পথেই আমরা এগিয়ে যাবো। তবে স্টাইলটা হবে অন্যরকম।

লার্সন বিবিএ করেছেন ওয়েস্টার্ন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে। পরে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স শেষ করেছেন। প্রযুক্তি বিশ্বকে অনেকেই বলেন পুরুষ নির্ভরশীল। সে ধারণার দেয়াল ভেঙে নারী নেতৃত্ব এখন অগ্রসর হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এ বছরের জুলাইয়ে ইয়াহু ‌ম্যালিসা মায়েরকে প্রধান নির্বাহী নিযুক্ত করে নারীদের নেতৃত্বকে একধাপ এগিয়ে দিয়েছেন। যদিও ফেসবুক ২০০৮ সালে স্যান্ডবার্গকে সিওও নিযুক্ত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

বাংলাদেশ সময় ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।