ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সাইবার অপরাধ বিচারে ২টি ট্রাইব্যুনাল

পার্লামেন্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১২
সাইবার অপরাধ বিচারে ২টি ট্রাইব্যুনাল

সংসদ ভবন থেকে: সাইবার অপরাধের বিচারের জন্য দেশে প্রথমবারের মতো ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হচ্ছে। এছাড়া ৩০টি জেলার প্রত্যেকটিতে একটি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল করা হবে।



সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
 
আশরাফুন নেছা মোশারফের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সারা দেশে এ ধরনের ৪৮টি আদালত স্থাপন করা হবে।

মন্ত্রী জানান, জেলা পর্যায়ে আদালতের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আদালতে মামলার সংখ্যার অনুপাতে আদালতের সংখ্যা বাড়ানো হয়। দেশের প্রত্যেক জেলা জজ সমন্বয়ে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল এবং প্রত্যেক অতিরিক্ত জেলা জজ সমন্বয়ে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ অতিরিক্ত ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে। এ মুহূর্তে একটি ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল এবং প্রতিটি বিভাগীয় শহরে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনাল স্থাপন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি আরো জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রামে একটি করে দু’টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল, পাঁচটি বিভাগীয় শহরে পরিবেশ আদালত, ৩০টি জেলার প্রত্যেকটিতে একটি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেটে তিনটি মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বরিশাল ও সিলেটে দু’টি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মনিরুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে আইন মন্ত্রী শফিক আহমেদ জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত ও তদারকির জন্য অনুসন্ধান ও তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ২০০৯ সালে প্রাপ্ত ৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭২টি, ২০১০ সালে ২০৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৬৬টি, গত বছর ৪৫৩টি অভিযোগের মধ্যে ৪০৬টি এবং চলতি বছরের নভেম্বরের এ পর্যন্ত ৫৫৬টি অভিযোগের মধ্যে ৩৮৮টি নিস্পত্তি করেছে। তাছাড়া কমিশন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সময় চাঞ্চল্যকর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত তদন্ত দল গঠন করে তদন্তপূর্বক সুপারিশ সরকারকে দিয়েছে। বর্তমানে কমিশনের জনবল ২৮ জন।

মাহফুজা মণ্ডলের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশে দুই দফায় ৩৩০ জন সহকারী জজ নিয়োগ করা হয়েছে। প্রথম দফায় নিয়োগ করা হয় ২১১ জন এবং দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ দেওয়া হয় ১১৯ জনকে।

মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত অ্যাডভোকেটের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৩০ জন। সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেটদের কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এ মুহূর্তে চালু নেই। তবে বার কাউন্সিল কর্তৃক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

বিএনপির অনুপস্থিত সদস্য শাম্মী আক্তারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বছরে দেশের জেলা জজ আদালতের ব্যয় ১৮১ কোটি ২৬ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। অপরদিকে আদালত থেকে বছরে আয়ের পরিমাণ হচ্ছে ৮১ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১২
এসএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।