ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড সম্মানে দুই বাংলাদেশি

আইসিটি রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১২
ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড সম্মানে দুই বাংলাদেশি

ব্র্যান্ডিংয়ে বিশেষ অবদানের জন্য ‘ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড কংগ্রেসের’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দুই বাংলাদেশি। এতে মিডিয়া ক্যাটাগরিতে কালের কণ্ঠের বিজনেস এডিটর মাসুদ রুমী পেয়েছেন ‘ব্র্যান্ড লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’।



প্রসঙ্গত, সাংবাদিকতায় ব্র্যান্ডিংয়ে পেশাগত স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ইউনিকম মিডিয়া। এ প্রতিষ্ঠানের সিইও নুমায়ের মাহবুব এ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।

এর আগে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে আফতাব মাহমুদ খুরশিদও করপোরেট ব্র্যান্ডিংয়ের ওপর এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড কংগ্রেসের ‘গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড ফর ব্র্যান্ড এক্সিলেন্স’ অনুষ্ঠানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এ দু বাংলাদেশির হাতে অ্যাওয়ার্ড এবং সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।

ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের হোটেল তাজ ল্যান্ডে ২১তম ‘ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের কংগ্রেসের থিম ‘ব্র্যান্ড রেপুটেশন: প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার’। কংগ্রেসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৫০০ ডেলিগেট, ব্র্যান্ড বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিন দিনের এ সম্মেলনে বিশ্বের শতাধিক শীর্ষ বহুজাতিক ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্র্যান্ডিং নিয়ে আলোচনা ও ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ করেছেন। এ ছাড়াও বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডগুলো তাদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছে।

ওয়ার্ল্ড সিএসআর ডে এর প্রতিষ্ঠাতা ড. আর এল ভাটিয়ার সঞ্চালনায় ব্র্যান্ডিং এবং সিএসআর বিষয়ক একটি ডকুমেন্টরি প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর শীর্ষ ৫০ মেধাবী পেশাজীবির হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) কাউন্সিলের কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ডোনোভান নিয়েলি ম্যা এবং বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ও ব্র্যান্ড বিশেষজ্ঞ হরিশ মেহতা।

পণ্য ও সেবার ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে নিজ নিজ দেশের ব্র্যান্ডিংয়েরও আহ্বান জানান তিনি। যারা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তারা ভবিষ্যতের ব্যবসায়ীক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে ভূমিকা পালন করবেন বলে মেহতা দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।

ডোনাভোন নিয়েলি ম্যা বলেন, উন্নয়শীল দেশগুলোতে অনেক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ উদ্যোক্তা বিপণনকে খরচ হিসেবে দেখেন, তারা এটাকে বিনিয়োগ মনে করেন না। কিন্তু করপোরেট জগতের ইতিহাস তা বলে না। মার্কেটিং বিজনেস লাইফ সাইকেলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা উপাদান যেখানে অন্য বিভাগের মতো ক্রমাগত বিনিয়োগ প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সাল থেকে আমরা একটি বিশ্বমন্দা পার করছি। তাই বিপণনে খরচ কমানোর চাপ তৈরি হয়েছে। কিন্তু ব্যয় সাশ্রয়ের কি প্রভাব তার বিশ্লেষণ হয়নি ভালোভাবে। এ সম্মেলনে বিশ্বের ২০টি দেশের ৫০ জন মেধাবী ব্র্যান্ড পেশাজীবিকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময় ২০৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর- [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।