ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সরকারের আহবানেও ইউটিউব অনঢ়

ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১২
সরকারের আহবানেও ইউটিউব অনঢ়

ঢাকা: বাংলাদেশের আহবানে সাড়া দিচ্ছে না গুগলের ভিডিও সেবা প্রতিষ্ঠান ইউটিউব। সরকারের টেলিযোযোগ মন্ত্রণালয় ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) একাধিকবার চিঠি দিয়ে বিষয়টির সমাধান করতে চাইলেও গুগলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ধরনের উত্তর পাওয়া যায়নি।



সম্প্রতি তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু শিগগিরই ইউটিউব চালু হবে বলে মন্তব্য করছেন। কিন্তু বিষয়টি এককভাবে সমাধান করা সম্ভব নয়।

গুগলের সহযোগিতা না পাওয়ায় সহসাই বাংলাদেশে ইউটিউব চালু করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে গুগলের বাংলাদেশের প্রতিনিধি কাজী মনিরুল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা না বলে গুগলের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হেড অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স মাইরিয়াম বাউবলিলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

তার সঙ্গে ই-মেইল যোগাযোগ করা হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।

জানা গেছে, বাংলাদেশের পার্ট থেকে ইনোসেন্স অব মুসলিমস ছবিটির কনটেন্ট তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি। বিটিআরসি ব্যর্থ হয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় গুগল কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ করে। মন্ত্রণালয় গুগলকে চিঠিও দেয়। কিন্তু এর পরেও গুগলের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর আসেনি।

বিশ্বজুড়ে ইনোসেন্স অব মুসলিমস চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর ভারত, মিসর, জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়াতে ইউটিউবে ছবিটি দেখানো বন্ধ করা হয়। এ নিয়ে বাংলাদেশেও বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ হয়। এক পর্যায়ে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে বিটিআরসি গুগলের ভিডিও সেবা ইউটিউব বন্ধ করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশসহ পাকিস্তান, আফগানিস্তানে পুরো ইউটিউবই বন্ধ করে দেওয়া হয়।

টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের পক্ষে ইনোসেন্স অব মুসলিমস বন্ধ করা সম্ভব নয়। গুগল চাইলে তা করতে পারে। এজন্যই গুগলকে বারবার অনুরোধ জানানো হয়। একমাত্র গুগল রাজি থাকলেই বিটিআরসির পক্ষে পুনরায় ইউটিউব চালু করা সম্ভব। এ কারণেই সরকারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সমঝোতার মাধ্যমেই কাজটির সমাধান করতে চেয়েছে।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গুগলকে একাধিকবার চিঠি দেওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজের কাছে স্বীকারও করেছেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদেরকে কয়েকটি চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো সাড়া দেয়নি। গুগল সাড়া না দিলে তাদের পরবর্তী করণীয় জানতে চাইলে তিনি সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, দেখা যাক কি করা যায়। ’     

বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১২  
আইএইচ/ সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।