ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ভবিষ্যতের যোগাযোগে ভিডিওকলই শীর্ষে!

শেরিফ আল সায়ার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১২
ভবিষ্যতের যোগাযোগে ভিডিওকলই শীর্ষে!

ভবিষ্যত সমাজ হবে মোবাইল প্রযুক্তিনির্ভর। যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে বিশ্বের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ তৈরিতে সক্ষম এ খুদে পণ্যটি।

এ কারণেই এ বছরে মোবাইল নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলো একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সরব।

প্রত্যেকে নিজস্ব ট্যাবলেট পিসি কিংবা স্মার্টফোন নিয়ে বাজার মাতানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে এখন মোবাইল প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাপ দেওয়া শুরু করেছেন।

কারণ তাদের ওপরই নির্ভর করছে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট পিসির সেবা। এক্ষেত্রে ভিডিও কলিং অনেকটাই এগিয়ে আসছে। বিশেষ করে অন্য সব প্রতিষ্ঠানগুলো ভিডিও কল নিয়ে সেবা প্রদানে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

ভবিষ্যতের জন্য এখন আর কেউ অপেক্ষা করতেই চাচ্ছেন না। সবাই চাচ্ছেন ভিডিওকল সেবাকে আরও মজবুত করতে। এমনকি অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠান ভিডিও কল নিয়ে ব্যবসায়ীক নতুন চিন্তা করাও শুরু করে দিয়েছেন।

এ সময়ে ভিডিও কলিং সেবা দিয়ে এগিয়ে আছে ট্যাংগো মোবাইল। তারা সারাবিশ্বে ৮ কোটি ব্যবহারকারীকে ভিডিওকলের সেবা দিয়ে থাকে।

ট্যাংগো মোবাইলের প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান এবং অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ইরিক সেটন এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বলেন, এ সময়ে খুদে বার্তা এবং ফোনকল খুবই জনপ্রিয়। এখানে যদি ভিডিওকল বিশ্বব্যাপী জনিপ্রয় হয়। তবে প্রযুক্তি কয়েকশ ধাপ এগিয়ে যাবে। একই সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ আরও সহজ হবে।

ধীরে ধীরে কিন্তু জনপ্রিয় সব প্রতিষ্ঠান নিজেদের সেবায় যুক্ত করছেন ভিডিও কল। যেমন অ্যাপল এ বছরের সেপ্টেম্বরে ফেসটাইম বলে নতুন ফিচার চালু করে। আবার এ ডিসেম্বরেই ইয়াহু ‘অন দ্য এয়ার’ নামে নতুন ভিডিও চ্যাটসেবা দিতে পারবে এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে কিনে ফেলেছে।

এ সময়ে প্রযুক্তি বাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় মরিয়া মাইক্রোসফট তো গত বছর ২০১১ সালেই ৮৫০ কোটি ডলারে স্কাইপি কিনে নেয়। এ পর্যন্ত স্কাইপি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ভিডিওকল সফটওয়্যার হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছে।

এ প্রতিযোগিতায় গুগলও পিছিয়ে নেই। গুগলপ্লাস নেটওয়ার্ক সেবা খুব একটা জনপ্রিয়তা না পেলেও তাদের ভিডিও করার জন্য প্রায় ২০০ টি অ্যাপলিকেশন আছে।

ভিডিওকল এতটাই জনপ্রিয় যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য ব্যবহারকারীদের ভবিষ্যতে ভিডিওকলের মাধ্যমে সেবা দেওয়া কথা ভাবছেন। অর্থাৎ প্রযুক্তি বিপ্লব হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ জোয়ারে পিসি ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে।

ইতিহাসের পাতায় হয়ত ল্যান্ডফোন হারিয়েই যাবে। এ মুহূর্তে মোবাইলের দৌরাত্ব এতটাই শক্তিশালী যে মানুষ আর কানে ফোন দিয়ে কথা বলতে চায় না। কথা বলার সময় একে অপরকে দেখতে চায়।

বাংলাদেশ সময় ১৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।