ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

যুক্তরাজ্যেই থাকছে শীর্ষ হ্যাকার গ্যারি

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১২
যুক্তরাজ্যেই থাকছে শীর্ষ হ্যাকার গ্যারি

হ্যাকিং বিশ্বের শীর্ষ আলোচিত ব্রিটিশি হ্যাকার গ্যারি ম্যাককিননকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিচ্ছেনা তার সরকার।

২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কম্পিউটার সিস্টেমের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ৮ লাখ ডলার পরিমান সম্পদ বিনাসের ঘটনায় অভিযুক্ত হয় ৪৬ বছর বয়সী এই ব্রিটেনি।

যার দায়ে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য সরকারকে আহবান করে গ্যারিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণের জন্য। গ্যারি প্রথম থেকেই ক্ষতিসাধনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে তবে ‘ইউএফও’ এর তথ্যাদি পাওয়ার উদ্দেশ্যে কম্পিউটার সিস্টেমে ঢুকেছিল বলে স্বীকার করে।

যুক্তরাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউশন ডিরেক্টর কিয়ের স্টারমার কিউসি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, গ্যারিকে দোষী সাব্যস্তকরণের উপযুক্ত সুবিধা তেমন ছিলনা। প্রায় তিন মাসের মত বিচার কার্যক্রম না চালানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয় মি. স্টারমার এরপর স্বরাষ্ট্র সচিব ‘থ্যারেসা মে’ ম্যাককিননের হস্তান্তর বন্ধ করে।

জেনিস শার্প গ্যারির মা খবরটি জানামাত্র বিস্মিত হয়। তার প্রতিক্রিয়াগুলো প্রকাশ পায় সংবাদমাধ্যমে ‘ রায় অনুসারে ইউকে গ্যারিকে দোষী সাব্যস্ত করছেনা এ খবর বিষ্ময়কর, মামলা এখন শেষ পর্যায়ে যেজন্য তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি আরও বলেন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলা মামলা কতটা যন্ত্রণাদায়ক তা বুঝিয়ে বলা কঠিন। আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট আনন্দিত কারণ দীর্ঘ সময়ের মানসিক ভোগান্তিতে আর যেতে হচ্ছেনা। এছাড়া ক্রিসমাসে মুক্তি দেওয়ার মি. ওবামাকে সবকিছুর চেয়েও প্রিয় হিসেবে দেখছে তিনি।

সুত্র মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাদীপক্ষ প্রচুর চেষ্টা চালিয়েছে ম্যাককিননকে তাদের অধীনে নেওয়ার জন্য। দোষী প্রমাণিত হলে ক্ষয়ক্ষতির সাজা হিসেবে তাকে ৬০ বছরের কারাবাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত করে।

অন্যদিকে ম্যাককিননের অক্টোবরের মেডিক্যাল রিপোর্টে দেখা যায় বিষয়টি নিয়ে মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছে তিনি এমনকি আত্মহননের চিন্তা তার মাথাতে। এরপরে ব্রিটেনিরা যুক্তরাজ্য মানবাধিকারের আওতায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়।

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত গ্যারির অন্য বিবৃতি ‘অনধিকার প্রবেশ হয়েছে ঠিকই কিন্তু কখনও ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে নয়। ১০ বছরে কঠোর শাস্তির স্বাদ পেয়েছি।

অন্যদিকে গ্যারির আইনজীবি ক্যারেন টডনার রায়ের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। বিচারকার্যের মুখে হতে হচ্ছেনা এতে আমি আনন্দিত। যেই জন্য আমি ভাবতে চাইনা মানসিক অবস্থার জন্য তাকে বন্দীদশায় কাটাতে হবে কিনা। কিন্তু আমি উদ্বীগ্ন এক্সট্্রডিশন আদেশ নিয়ে কারণ এখনও অসম্পন্ন এটি। ফলে যুক্তরাজ্যের বাহিরে যেতে পারছেনা গ্যারি। সেইসাথে যতক্ষণে না চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে সে পর্যন্ত ঝুলিয়ে থাকার অবস্থায়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে সম্পর্ক স্থাপন করায় প্রতিনিয়ত যুক্তরাজ্য সরকারের সমর্থনে থাকবে তারা। উল্লেখ্য, ব্রিটিশি এই কম্পিউটার হ্যাকার বছর বছর ধরে লড়ছে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের রায়ের জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘন্টা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।