ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দেশে প্রযুক্তিপণ্যের চাহিদা বদলাচ্ছে

সাব্বিন হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১২
দেশে প্রযুক্তিপণ্যের চাহিদা বদলাচ্ছে

ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বসেছে ৫ দিনব্যাপী দেশে আসা তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের পসরা। এখানে খুদে ট্যাবলেট, নেটবুক, ল্যাপটপ, নোটবুক, সিকিউরিটি পণ্য, পাওয়ার ব্যাকআপ, ডিজিটাল ক্যামেরা, তথ্য বিনিময়ের ছোট ছোট পণ্য ছাড়াও বিনোদনের সব ধরনের পণ্যই এখানে পাওয়া যাচ্ছে।



দামে সাশ্রয়ী আর বাড়তি উপহারের খবর নিতে তরুণ ক্রেতারা ছুটছেন এ প্রদর্শনীর উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে। শীতের আবহেও দর্শনার্থীদের ভিড়ে সন্ধ্যার পরই মুখর হয়ে উঠেছে এ প্রদর্শনী।

লোভনীয় ছাড়ে বিক্রি বাড়ছে বলে কয়েকজন বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান। তবে বিক্রির পরিমাণ কেমন এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান অনেকেই। গড়ে ১০০টি ল্যাপটপ বিক্রি হচ্ছে বলে আয়োজক কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা তথ্য দিয়েছেন। এ ছাড়াও ৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় ডিজিটাল পণ্যের বিক্রি বেশ ভালো।

বাংলাদেশের আইসিটির পরিচিত ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আসুস, অ্যাসার, এইচপি, তোশিবা এবং স্যামসাং তাদের ল্যাপটপেই কিছু না কিছু নিশ্চিত উপহার দিচ্ছে। দামের মডেলভেদে ছাড় মিলছে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। সঙ্গে শীতকালীন উপহারও আছে। এইচপির প্রতিটি ল্যাপটপের সঙ্গে উপহার থাকছে একটি জ্যাকেট এবং ক্যারিং ব্যাগ। বিসিএসয়ের বার্ষিক এ প্রদর্শনী মূলত পণ্যনির্ভর। তাই দামে সাশ্রয়ী আর উপহারই হয়ে উঠেছে এ প্রদর্শনীর মূল আকর্ষণ।  

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় ছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের চার বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক উন্মুক্ত সেমিনার। তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বারের সঞ্চালনায় এ সেমিনারে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। এতে মোস্তাফা জব্বার বলেন, একবার তথ্যপ্রযুক্তির চাকা চলতে শুরু করেছে। একে থামানো কঠিন। বাংলাদেশের মতো এমন তরুণ শক্তিনির্ভর দেশ এ মুহূর্তে খুব কমই আছে। তাই বাংলাদেশ আইসিটিতে এগিয়ে যাবে এটা নিশ্চিত।

এদিকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক মুনির হাসান। আলোচক ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ এবং বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সমন্বয়ক ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি, প্রতিবন্ধকতা এবং তা দূরীকরণে করণীয় বিষয়গুলো এ সেমিনারে উঠে আসে।

এবারে ডিজিটাল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় মিলছে অভূতপূর্ব সারা। সারাদিনই শিশুদের ভিড় ছিল এ জোনে। স্কুল শিক্ষার্থীরা কম্পিউটারে নিজের পছন্দমতো ছবি এঁকেছেন। এ প্রতিযোগিতা আরও দুদিন চলবে।

শিশুদের গেমিং জোনেও বৃহস্পতিবার সারাদিনই ছিল হৈ-হুল্লোড়। এ ছাড়া প্রদর্শনীতে কিউবির সৌজন্য মিলছে চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট একবারেই ফ্রি। ফলে ওয়াইফাই সুবিধাভোগীরা প্রদর্শনীতে মেতে উঠতে পারছেন ভিন্ন আনন্দে।  

একদিকে পণ্যনির্ভর প্রদর্শনী অন্যদিকে চলছে ওয়েব প্রদর্শনী। এতে অংশ নিয়ে প্রতিদিন ২০টির বেশি তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য পুরস্কার জিতে নিচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

প্রসঙ্গত, ২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১১টায় আছে ই-লার্নিয়ের লক্ষ্য ও মেরিটাইম শিক্ষায় প্রয়োগ শীর্ষক সেমিনার। এতে সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ তামিম প্রধান অতিথি থাকবেন।

এতে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরবেন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীর কমান্ড্যান্ট ড. সাজিদ হোসেন। ২৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় আছে ডিজিটাল শিক্ষা নিয়ে সেমিনার। এতে বিসিএস পরিচালক মোস্তাফা জব্বার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এ ছাড়া শুক্রবার বেলা ৩টায় আছে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।

বাংলাদেশ সময় ১৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।