ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সিঙ্গাপুরে ৩ দিন থ্রিজি অচল!

সাব্বিন হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৩
সিঙ্গাপুরে ৩ দিন থ্রিজি অচল!

বাংলাদেশ এখন থ্রিজি প্রযুক্তিমুখর। তবে বিপত্তি ঘটলে ভোক্তাদের সামলাবেন কিভাবে তারই একটি দৃষ্টান্ত মডেল পাওয়া গেল সিঙ্গাপুরে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি গ্রাহকের অপারেটর ‘এমওয়ান’ টেলকো পর পর তিনদিন ভোক্তোদের থ্রিজি সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে থ্রিজি ভোক্তাদের দারুণ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে তা পুষিতে দিতে এমওয়ান ১০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি এ তিনদিন এমওয়ান থেকে সব ধরনের লোকাল কল, এসএমএস, এমএমএস এবং ডাটা সার্ভিসে ফ্রি দেওয়া হবে। চাইনিজ ইয়ার হলিডে উপলক্ষে এ তিনদিনকে বেছে নিয়েছে এমওয়ান অপারেটর।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক এমওয়ান অপারেটরের প্রিপেইড গ্রাহকেরা প্রতি ১৭ সিঙ্গাপুর ডলার টপ-আপের বিপরীতে ১ ডলার (সিঙ্গাপুর) বোনাস সুবিধা পাবেন।

এ অপাগরতা প্রসঙ্গে এমওয়ান কর্তৃপক্ষ দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছে, এটা সত্যিই অপারগতা। এ ক্ষতি পুষিয়ে দিতে গ্রাহকদের জন্য বেশ কিছু অফার ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ সেবা বিচ্যুতিতে গ্রাহকদের ধৈয্য আর সহযোগিতার জন্য এমওয়ান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

এ সেবা থেকে বিচ্যুত শিক্ষার্থী কেনি লোক বলেন, এ ধরনের আর্থিক ক্ষতিপূরণমূলক ঘোষণা বিরক্তিকর। সঙ্গে হতাশাজনকও।

এদিকে এ সেবার আরেক গ্রাহক পেশায় ড্রাইভার গ্লেন ইয়ো বলেন, ৩ দিন সেবা দিতে ব্যর্থ হয়ে এ ধরনের আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা সত্যিকার অর্থেই হাস্যকর। গত তিন দিনে (মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার) থ্রিজি সেবা না থাকায় ব্যবসা কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির হয়ে যায়।

সাধারণা কলও করা যায়নি এ নেটওয়ার্ক থেকে। ফলে শুধু কল করার জন্য থ্রিজি থেকে টুজিতে কনভার্ট হতে হয়েছে। এ ধরনের ব্যর্থতার প্রকৃত কোনো আর্থিক ক্ষতিপূরণ হয় না।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা বৃহস্পতিার রাত ৭টা পর্যন্ত এমওয়ানের সিঙ্গাপুর গ্রাহকেরা থ্রিজি সেবা পাননি। এ ছাড়াও এখনও এমওয়ানের কিছু গ্রাহক ফেসবুক ব্যবহারে নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে এমওয়ান পরামর্শ দিয়েছে, এ সমস্যায় যেসব মোবাইল হ্যান্ডসেট এখনও সঠিক সেবা দিতে পারছে না। সেসব হ্যান্ডসেট একেবারেই সুইচ অফ করে সিমকার্ড বের করে আবার সিমটি ইন্সটল করলে সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।


এটি একটি জটিল এবং গভীর সম্যসার অবতারণা করেছে। ফলে ‘কোড অব প্যাকটিস ফর টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিস রেসিলেন্সি’ আওতায় এটি একটি আইনগত সেবা। এর কোনোরূপ ব্যর্থতায় মামলাও করা যেতে পারে। দ্য ইনফোকম ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (আইডিএ) সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।

দ্য কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব সিঙ্গাপুর (কেস) সূত্র জানিয়েছে, এখনও বেশ কিছু বিচ্যুতির খবর আসছে। এটি অভিযোগ অকার এমওয়ানের কাছে পাঠানো হচ্ছে।

কেসের নির্বাহী পরিচালক সিহ সেঙ চুন জানান, এ ধরনের ব্যাহত সেবায় ভোক্তাদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য এমওয়ান কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভোক্তাদের সব ধরনের অভিযোগ নিয়ে এমওয়ান সতর্ক কেস সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।

বাংলাদেশ সময় ১৬৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।