ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

গুগলকে বিভিন্ন দেশের চিঠি, শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৩
গুগলকে বিভিন্ন দেশের চিঠি, শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা: গুগলের সংগ্রহে থাকা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিপুলপরিমাণ তথ্যের নাগাল পেতে সচেষ্ট বিভিন্ন দেশের সরকার। গুগলের মতে, ২০১২ সালের শেষভাগে এসে এ সংক্রান্ত সরকারি আবেদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে।



বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে গুগল। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, তথ্য পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি অনুরোধ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার থেকে। সেখান ১৪ হাজার ৮৬৮ জন ব্যবহারকারী সম্পর্কে জানার জন্য আট হাজার ৪৩৮টি আবেদন এসেছে।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতের চার হাজার ১০৬ জন ব্যবহাকারী সম্পর্কে জানতে ২ হাজার ৪৩১টি আবেদন এসেছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ফ্রান্সের ২ হাজার ৬৩ জন ব্যবহারকারী সম্পর্কে জানতে ১ হাজার ৬৯৩টি আবেদন এসেছে। এরপর রয়েছে যথাক্রমে জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিল।

গুগলের আইন ও তথ্য নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান রিচার্ড সালগাদো এ ব্যাপারে বলেন, “২০১২ সালের শেষার্ধে এসে আমাদের ব্যবহারকারীদের তথ্য পাওয়ার জন্য বিভিন্ন সরকারি আবেদন অব্যাহত আছে। আর যেহেতু আমাদের ব্যবহারকারী দিন দিন বাড়ছেই,. তাই আবেদনও বাড়ছে। ”

তিনি আরও জানান, ২০০৯ সালের পর থেকে সার্বিকভাবে ব্যবহারকারীদের তথ্য জানার আবেদন ৭০ শতাংশ বেড়েছে।

এছাড়া ২০১২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৬৩৪ জন ব্যবহারকারী সম্বন্ধে ২১ হাজার ৩৮৯টি আবেদন পেয়েছে গুগল।

গুগল আরও জানিয়েছে, ৬৮ শতাংশ আবেদনের ক্ষেত্রেই তারা কিছু না কিছু তথ্য আবেদনকারীদের পাঠিয়েছে। ২০১০ সালে এ পাঠানোর হার ছিল ৭৬ শন্তাংশ।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা আবেদনগুলোর বেশিরভাগই এসেছে আদালতের রিট হিসেবে। যেগুলোর ব্যাপারে সালগাদো বলেন, “এটাই এ ধরনের আবেদনের জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি কারণে এতে বিচারককে দরকার হয় না। ”

এছাড়া সার্চ ওয়ারেন্টের মাধ্যমেও অনেক আবেদন এসেছে, যার বেশিরভাগ আদালতের নির্দেশে কোনো অপরাধীর অপরাধের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্য।

যুক্তরাষ্ট্রের ২০১২ সালের এসব আবেদনের প্রেক্ষিতে ৯০ শতাংশ আবেদনকারীকেই কিছু না কিছু তথ্য দিয়েছে গুগল। ২০১০ সালে দিয়েছিল ৯৪ শতাংশ।

ওয়াশিংটনের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বেরিন জোকার মতে, অনলাইন জগতে যে সরকারি হস্তক্ষেপ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এই প্রতিবেদনই তার প্রমাণ।

সরকারি এসব আবেদনের অনেকগুলো আদালত স্বীকৃত নয় উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক পরিচালক ডেভিড পেট্রাউসের ঘটনার পর ই-মেইলের ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়ার জন্য আবেদনের সংখ্যাও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৩
সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।