ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দেশের সংবাদমাধ্যমে অনলাইনের গণজাগরণ

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৩
দেশের সংবাদমাধ্যমে অনলাইনের গণজাগরণ

১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩। নতুন সাইটের অবয়বে দেশের অনলাইন গণমাধ্যমে বাংলানিউজের নবউদ্যোমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়।

তবে এ উদ্যোগ যতটা বাংলানিউজের, তার চেয়েও বেশি দেশি-বিদেশি কোটি পাঠকের।

তিন বছরে অর্জিত এ সাফল্য বাংলানিউজকে নতুন উদ্যোমে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগাচ্ছে প্রতিনিয়তই। পাঠকের সার্বক্ষণিক পরামর্শ, উৎসাহ আর ভুল শুধরে এগিয়ে যাওয়াকে পুরোপুরি ইতিবাচক হিসেবে দেখতে বাংলানিউজ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

এ সাফল্যের পেছনে অবশ্য বাংলানিউজের পৃষ্ঠপোষকদের ধৈর্য্য আর সিদ্ধান্তের প্রসংশা না করলেই নয়। দেশের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে নিতে বাংলানিউজকে দূর্গম যাত্রার নেপথ্যে থেকেও তারাও অবিচল সাহস জুগিয়ে যাচ্ছে।

এরই মধ্যে দেশের সবচেয়ে অগ্রসরমান অনলাইন সংবাদমাধ্যম হয়ে উঠেছে বাংলানিউজ। বিশ্বের শীর্ষ অনলাইন তালিকা নির্মাতা অ্যালেক্সা ডটকমের এ বছরের ১ ফেব্রুয়ারির গ্রাফচার্ট এ তথ্যের আভাস দিয়েছে। একে একে বাংলানিউজ দেশের চলমান সবগুলো অনলাইন গণমাধ্যমের কাছে আরও বেশি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

তাই দেশের অনলাইন সংবাদমাধ্যমের এ প্রবৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের অনলাইনকেন্দ্রিক পাঠকের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। সঙ্গে পাঠক সচেতনাও বাড়ছে। পাঠকের এ চাহিদা পূরণে বাংলানিউজের নিউজরুম কর্মীরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। আর রাজনৈতিক উত্তাপে বাংলানিউজের রিপোর্টাররা তো মাঠ ছাড়ার সুযোগই পাচ্ছেন না। তাই দেশের অনলাইন সংবাদমাধ্যমের জনপ্রিয়তা আর গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ে এ সময়টা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

এ মুহূর্তে দেশে স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, নোটবুক এবং নেটবুকে ইন্টারনেটে ব্যবহার হু হু করে বাড়ছে। দেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সদ্য অনুষ্ঠিত ২১তম সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেটরস গ্রুপ (Sanog) সম্মেলনে এ তথ্যটি সুস্পষ্ট হয়েছে। আর এ অগ্রগতিতে অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।

সব মিলিয়ে দেশের অনলাইন সংবাদমাধ্যমে এটি গণজাগরণের আভাস দিচ্ছে। একদিকে ইন্টারনেট অন্যদিকে সংবাদের তাৎক্ষণিক প্রাপ্তির উত্তাপ দুয়ে মিলে সময়টা এখন অনলাইনের দিকেই ভালোভাবে এগোচ্ছে। সংবাদ যখন, তখনই জানুন, কাল নয়। অধিকাংশ পাঠকেরা এখন দিনের ঘটনা দিন পেরিয়ে পরদিন সকালে দেখাকে পিছিয়ে থাকা বলেই মনে করেন। জানতে হবে এখনই। খবর তা যেমনই হোক।

দেশের মোবাইল অপারটরেরাও এখন ব্রেকিং নিউজ দিতে আর পিছ পা হয় না। পাঠকেরাও এ ধরনের ব্রেকিংয়ের অপেক্ষায় থাকেন। ফলে ইন্টারনেটে এক ধরনের পাঠকশ্রেণীর আর্বিভাব হয়েছে। এ শ্রেণীর পাঠক অব্যশই সক্রিয় এবং চটপটে। যাদের কাছে খবর মানেই তাৎক্ষণিক একটা বিষয়। খবর প্রতিমুহূর্তেই বাসি হচ্ছে।

এসব দিক থেকে বাংলানিউজ পাঠকের চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আর বিবেচনায় নিয়ে অবিরাম নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া প্রত্যয়ে কাজ করছে। তবে পরিবর্তনের ধারায় কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। তাই নিজেকে নিত্যনতুন উপস্থাপনায় বাংলানিউজ সচেষ্ট আর আগের চেয়েও সক্রিয়।

অ্যালেক্সা ডটকমের গ্রাফচার্টে নতুন করে এগিয়েছে বাংলানিউজ। আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ এখন সামনে। সব মিলিয়ে দেশের অনলাইন সংবাদমাধ্যমে এ গণজোয়ারের অংশীদার হতে পেরে সংবাদ উপস্থাপনে নিজেকে আরও সুসজ্জিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলানিউজ। কথাগুলো এভাবেই বললেন বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন।

বাংলানিউজে দেশের সর্বাধিক অনলাইন রিপোর্টারদের সক্রিয় একটি চৌকস কর্মীদল মাঠে ক্লান্তিহীন খবরের পেছনে ছুটছেন। নিউজরুমও তাদের সার্বিক সহযোগিতা করতে সদাতৎপর।

সব মিলিয়ে তৎপর কর্মীবাহিনী নিয়ে বাংলানিউজ এখন দেশজুড়ে খবরের পেছনের খবর জানাতে অবিচল। দেশের যেকোনো ঘটনা সবার আগে জানাতে বাংলানিউজ সদাই সচেষ্ট। দেশ-বিদেশের কোটি পাঠকের প্রত্যাশা পূরণে বাংলানিউজের সচেষ্ট ছিল, আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে।

বাংলাদেশ সময় ২১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।