ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

কেনাকাটায় ই-কমার্সই এখন সাশ্রয়ী

মনোয়ারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৩
কেনাকাটায় ই-কমার্সই এখন সাশ্রয়ী

ঢাকা: বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো  বাংলাদেশের মানুষও ঘরে বসেই কেনাকাটা করতে অভ্যন্ত হয়ে উঠছে। দেশের প্রথম ‘ই-বাণিজ্য মেলা-২০১৩’ আসরের অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতা এমনই।

তারা মনে করেন ই-কমার্সকে আরও জনপ্রিয় করতে প্রতি বছর এ ধরনের আয়োজন করা উচিত।

‘ঘরে বসে কেনাকাটার উৎসব’ এ স্লোগানে তিন দিনের এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সব অংশগ্রহণকারীর মতে এ আয়োজন সাড়া ফেলেছে। এখানে অনলাইনে মানুষের আগ্রহ অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করে।

এতে অংশ নেওয়া ই-কমার্স, ইন্টারনেট বিপণন ও অনলাইনে কেনাকাটাসহ সব ধরনের অনলাইন বাণিজ্য জনপ্রিয় করতে নানামুখী অফার দেওয়া হয়।  

বিডিহাটডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরাফাত ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন ও অনলাইনমুখী। আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ নানা ধরনের পণ্য বাজারজাত করি, অনলাইনে দাম দেয়া আছে। কেউ অনলাইনে অর্ডার দিলে তা ঘরে বসেই সংগ্রহ করতে পাচ্ছেন। ফলে ভবিষ্যতে সব ধরনের ব্যবসায় অনলাইন বা ই- কমার্সের ব্যবহার বাড়বে।

মোবাইল অপারেটর টেলিটক থ্রিজির স্টলে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। টেলিটকের জুনিয়র এক্সিকিউটিভ বেলাল উদ্দিন সজীব বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তিনদিনে আড়াইশর মতো থ্রিজি মডেম বিক্রি করেছি। সীম বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৫০টি। এ ধরনের মেলায় সচেতন ও প্রযুক্তিবান্ধব আধুনিকমনা মানুষের অংশগ্রহণ দেখা যায়।

বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী শ্রাবণ বাংলানিউজকে বলেন, দেশে অনলাইন ব্যবসার সম্ভাবনা অনেক।   এদেশের মানুষ প্রযুক্তিকে খুব দ্রুত গ্রহণ করে। অনলাইনে স্বাচ্ছন্দ্যে আর পছন্দমতো কেনাকাটার সুযোগ থাকায় ক্রেতারাও ই-কমার্স থেকে বেশি লাভবান হচ্ছেন। ওয়েবসাইটে হাজারো পণ্য প্রদর্শন করা সম্ভব। এখান থেকে ক্রেতারা ইচ্ছামতো পছন্দসই পণ্য কিনতে পারেন। আসলে ভবিষ্যতের ব্যবসা ই-কমার্সকেন্দ্রিক।

এ ধরনের আয়োজনে সব ধরনের প্রতিষ্টানের সঙ্গে একসঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগ থাকে। প্রতিবছর নিয়মিত ই-বাণিজ্য উৎসব করা উচিত। শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ উদ্যোগকে জনপ্রিয় হবে।

উপহারবিডিডটকমের পরিচালক আশরাফুজ্জামান খান আবিদ বাংলানিউজকে বলেন, অনলাইন কেনাকাটা বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হচ্ছে। মানুষ এখন অনলাইননির্ভর জীবনযাপনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছে। মেলায় প্রতিদিন অাগ্রহীরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে, জানতে চেয়েছে। আমরা অনলাইনে অর্ডার নিয়ে নানা ধরনের উপহার পৌঁছে দিচ্ছি। অনলাইনে ব্যবসা দ্রুত প্রসার লাভ করছে বলেও তিনি মনে করেন।

যেমনখুশীডটকমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইউনুস আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, অভাবনীয় সাড়া পেয়েছি। একবারে স্বল্পপুঁজিতে অনলাইনে কেনাকাটার অর্ডার নিচ্ছি, ডেলিভারি দিচ্ছি। আমরা বিভিন্ন পণ্যে বাজারের থেকে কম দামে দিচ্ছি। তাছাড়া ই- বাণিজ্যেয় বিক্রির চেয়ে ব্রান্ডিং বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের মেলা নিয়মিত করা উচিত।

ইসুফিয়ানাডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর সাহে আলী বলেন, রাস্তায় যানজট, শপিংমলে ভিড় আরও নানা সমস্যায় মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করতে পছন্দ করছে। এখন দেশে ই-কমার্সকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যবসা পরিচালনা করছে। এসব সাইটে ক্রেতাদের জন্য আছে লন্ড্রি সার্ভিস, বই, গাড়ি, মোবাইল ফোনসেট, কম্পিউটার, শাড়ি, শার্ট-প্যান্ট, জন্মদিনের কেক, ফুলসহ সব ধরনের পণ্য।

রকমারিডটকমের এক্সিকিউটিভ শামিম হাওলাদার জানান,  অনলাইনে এক দিকে দোকান ছাড়াই বেশি পণ্য বিক্রি করতে পারছে বিক্রেতারা। অন্যদিকে ঘরে বসেই পছন্দের পণ্যটি পাওয়া যাচ্ছে। এ সময়ে ই-কমার্স খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এটি এখন আধুনিক  জীবনের অংশ ।

প্রথম ই- বাণিজ্য মেলায় মোট ৪০টি স্টলে ৩৪টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করেছে। মেলার সহযোগী আয়োজক কমজগৎ টেকনোলজিস, অর্পণ কমিউনিকেশন, ওয়ালেটো এবং বেসিস। এ উদ্যোগের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতা করেছে টেলিটক থ্রিজি এবং সেলবাজার। সহযোগী পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল এসএসএল কমার্জ এবং বিকাশ। এ আয়োজনের অনলাইন মিডিয়া পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে দেশের সক্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।

বাংলাদেশ সময় ১৩৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।