ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ভবনের অভাবে আইসিটি কার্যক্রম ব্যাহত

আইসিটি রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৩
ভবনের অভাবে আইসিটি কার্যক্রম ব্যাহত

ঢাকার আগারগাঁওস্থ বিসিসি ভবনে এখন চলছে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের কাজ। তবে ভবনটি মাত্র চার তলা বিশিষ্ট।

এতে অনেকগুলো প্রকল্প চালু থাকলেও সবগুলো কাজের জন্য যে পরিমাণ জায়গা বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন না নেই। ফলে কাজগুলো গতিহীন হয়ে পড়ছে। এ ভবনশূন্যতা আইসিটি মন্ত্রণালয়কে যাবতীয় কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়।

এ প্রসঙ্গে আইসিটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী (আইসিটি) মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ বলেন, স্থান সংকুলানের অভাবে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রযুক্তি বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৫ তলা বিশিষ্ট বিসিসি (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল) ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গৃহীত হলেও ভবনের কাজ মাত্র চার তলা পর্যন্ত এগিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এ চার তলার মধ্যে আবার বিসিসি ভবনে বিসিসি, বাংলাদেশ-কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (বিকেআইআইসিটি), কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটি (সিসিএ), বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কার্যালয় ও জাতীয় তথ্যকেন্দ্র (ডাটা সেন্টার) অবস্থিত।

আইসিটি ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির কার্যালয়, আইসিটি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার এবং সফটওয়্যার ফিনিশিং স্কুল প্রতিষ্ঠানকে বিসিসি ভবনে স্থান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার আগারগাঁওস্থ বিসিসি ভবনের চতুর্থ তলার ছাদে ভবনের সুউচ্চ সম্প্রসারণ লক্ষ্যে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির সভায় আইসিটিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে  এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক ড. জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সুসান্ত কুমার সাহা, বিসিসির পরিচালক জাভেদ আলী সরকার, আইএমইডি (বাস্তবায়ন ও পরীক্ষণ বিভাগ), বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়), গণপূর্ত বিভাগ, পারটেক্স ফার্নিচার, স্থাপত্য উপদেষ্টা মেসার্স বসত আর্কিটেক্ট, ভবন নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্ট এবং তাহের ব্রাদার্স কনসোর্টিয়ামের প্রতিনিধিরা।

এ সভায় দ্রুততম সময়ে ভবনের কাজ সম্পাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। নিয়মিত সঞ্চালক কমিটির বৈঠকের এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এরই মধ্যে আগারগাঁওস্থ শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকায় ১.২৪৩ একর জায়গায় আনুমানিক ৩৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পঞ্চম থেকে ১১তলা পর্যন্ত সুউচ্চ ভবন সম্প্রসারণের কাজ একনেক অনুমোদন করে।

এ বিষয়ে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ বিসিসি ভবনে নতুন আসা আইসিট মন্ত্রণালয় ছাড়াও কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটি, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের অফিস সৃষ্টি হওয়ায় এ অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছে।

অচিরেই এ ভবনের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার একান্ত সহযোগিতা  প্রত্যাশা করেছেন সভার উপস্থিত বক্তারা। এ ছাড়াও প্রকল্পের সঠিক এবং সুন্দর বাস্তবায়নে অর্থমন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন, আইএমইডি, বুয়েট এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের দ্রুত সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন আইসিটিমন্ত্রী।    

বাংলাদেশ সময় ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।