ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

উইন্ডোজ ফোনের ৫টি দূর্বল দিক

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৩
উইন্ডোজ ফোনের ৫টি দূর্বল দিক

মাইক্রোসফটের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ফোনের ৫ টি দূর্বল দিক সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে উঠে আসে। ২০১০ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত এই মোবাইল ওএস‘র অভ্যন্তরীণ দূর্বলতা সম্পর্কে বলা হয় অমার্জিতভাবে সমন্বয় হওয়ায় ব্যবহারকারীরা এতে চরম অভাববোধ করছে।

যেজন্য পণ্যটি প্রকাশের পর ব্যাপক চাহিদার পাশাপাশি সমালোচিত হওয়ায় বিলুপ্তির পর্যায়ে যায়। এটি যে সফটওয়্যার জায়ান্টের চরম প্রত্যাশার পণ্য সেটা নিশ্চিত তাই আগামীর পণ্যগুলোতে অবশ্যই বিদ্যমান সমস্যাগুলো স্পষ্টভাবে অপসারণ করবে এমনটাও জানিয়েছিল বিশ্লেষকরা। এছাড়া উইন্ডোজ ফোন কিভাবে আবদ্ধের মধ্যে থেকে অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে এমন উদ্বেগ জানানো হয় সেসময়। তারা এটাও জানান, ওএস’কে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে দেখে বিষয়টি উপস্থাপন হয়েছে।

উল্লেখ্য, উইন্ডোজ ফোনে নির্ধারিত বৈশিষ্ট্যগুলোর স্বল্পতায় রয়েছে অ্যাপস, ফ্ল্যাসের অসমর্থন, ব্যাপক সীমাবদ্ধতা, মিডিয়া প্লেব্যাকের কম ফরমেট এবং ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে দূর্বলতা।

অ্যাপসের স্বল্পতা: গত বছরের এপ্রিলে ছিল প্রায় ৮০ হাজার অ্যাপস যদিও সম্প্রতি আরেক হিসাব অনুসারে, প্রায় দেড় লাখের মতো অ্যাপস ভান্ডারে রাখতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু প্রতিদ্বন্দীদের পাশে রাখলে তা খুবই নগণ্য সংখ্যা। আর এ সংখ্যা বাদ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অ্যাপসের কমতি রয়েছে প্লাটফর্মটিতে।

বিশ্লেষণ মতে, স্কাইপি প্রথমদিকে বাদ পড়লেও পরে অবশ্য সংযোজন হয়েছে। আর কলাকৌশলে অক্ষমতা যা অ্যাপলের আইওএস এবং গুগলের অ্যান্ড্রুয়েড ভার্সনে পর্যাপ্ত। এছাড়া অপেরা ব্রাউজার দেওয়া হয়নি ডব্লিউপিতে যদিও অপেরা মিনি এবং অপেরা মোবাইল বহুদিন ধরে উইন্ডোজ মেবাইল প্লাটফর্মে রয়েছে। ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপস যা কম্পিউটার থেকে সরাসরি ফোনে ভিডিও চালনায় সমর্থন করে যেটাও মিসিং। এছাড়া কিছু গবেষণামূলক অ্যাপ যাকে টিভারসিটি রিমোর্ট বলা হয় তাও নেই। তবে উইন্ডোজ মোবাইল মার্কেটপ্লেসের অবসরে যাওয়ার বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠানের আগামী সব পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময়ী হবে যে কারণে অ্যাপলিকেশন স্টোরে যথেষ্ট মেনোযোগ দিবে বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে এটাও বলা হয়েছিল।

ফ্ল্যাসে অসমর্থন: বিশ্ব এইচিটিএমএল এর অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে এর পক্ষ বিপক্ষে কথা হবে একসময়। তবে এটাও একটা ব্যাপার অধিকাংশ ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ফ্ল্যাস ব্যবহার করে বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। উইন্ডোজ ফোনে ফ্ল্যাস সমর্থন করেনা কিন্তু এর বিপক্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য যেমন অ্যান্ড্রয়েডে ফিচারটি উপভোগ্য বলেন বিশ্লষকরা।

অতিরিক্ত সীমাবদ্ধতা: উইন্ডোজ ফোন পণ্যে অনেক ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনে সীমিতকরণ হয়েছে। যেমন ব্লুটুথ শুধু স্ট্রিমিং অডিওতে ব্যবহারযোগ্য ফলে ব্যবহারকারী অন্যান্য ব্লুটুথ পণ্যে ফাইল ট্রান্সফার করতে পারেনা। এছাড়া বাড়তি মেমোরি না থাকায় নির্দিষ্ট ৮ কিংবা ১৬ জিবির উপর নির্ভর করতে হয় এবং ফাইল ড্রাগ অ্যান্ড ড্রপ করতে জুন সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হয়।

মিডিয়া প্লেব্যাকের সীমিত ফরমেট: এতে ভিডিও এবং ওডিও ফরমেট সীমিত। ব্যবহারকারীরা কেবল ফোনে ভিডিও পাঠাতে পারে এজন্য পিসিতে জুন সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হয়। এমকেভি, এমটুটিএস এর মতো জনপ্রিয় ফাইল ফরমেটে বিনোদন উপভোগের সামর্থ্য নেই এ পণ্য ব্যবহারকারীদের। এছাড়া হাই-ডেফিনেশনের মিডিয়া প্লেব্যাক ৭২০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সংকীর্ণতা: নি:সন্দেহে উইন্ডোজ ফোন পণ্যের সবচেয়ে উন্নত ওয়েব ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। ডেস্কটপ ভার্সনের আইই’র মতো এর কাঠামোর ভিত্তি একই যেজন্য উন্নত জিনিস উপস্থাপনে সক্ষম।

কিন্তু এ ব্রাউজারে পেজ সংরক্ষণ করা যায়ানা। এক পেজ থেকে অন্য পেজ কিংবা ব্যাক বাটনে ক্লিক করলে সহজেই মেসেজ বক্স প্রদর্শিত হয় ”আগের পেজটি পুনরায় ডাউনলোড হচ্ছে”। এছাড়া পেজ বুকমার্কস সুবিধা থাকলেও সেগুলো অফলাইনে দেখার জন্য সেভ করা যায়না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ১৩ মার্চ, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।