বিশ্বজুড়ে লক্ষাধিক কমপিউটার এখন সাইবার আক্রমণের শিকার। এ সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে রেহাই পেতে হলে এ কমপিউটারগুলোতে ডিজিটাল প্রতিষেধক ব্যবহার করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।
তাৎক্ষণিক এবং জরুরী প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশের সরকারের ভ্যাকসিন কার্যক্রমে সে দেশের কমপিউটারগুলোকে ভাইরাসমুক্ত রাখতে ডিজিটাল প্রতিষেধক কার্যক্রম চালু করতে হবে।
এ মুহূর্তে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটযুক্ত কমপিউটারগুলো ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয় বলে জরিপ সূত্র জানিয়েছে। অন্যদিকে ইমেইল কিংবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও প্রতিনিয়ত ভাইরাস ছড়াচ্ছে। তাছাড়া ইমেইলের মাধ্যমে স্প্যাম আক্রমণ তো আছেই। উল্লেখ্য, ভাইরাস ছড়ানোর এ পদ্ধতি বুটনেট নামেও পরিচিত।
সূত্র জানিয়েছে, এ মুহূর্তে বিশ্বের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ কমপিউটার ভাইরাস স্প্যামের মাধ্যমে ছাড়চ্ছে। এ সংশ্লিষ্ট গবেষণা সূত্র জানিয়েছে, বুটনেট প্রক্রিয়ায় গত ২০০৫ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে মোট ১০ কোটি ৭০ লাখ ইন্টারনেট প্রোটোকল (আইপি) অ্যাড্রেস থেকে ১০ কোটি ৯০ লাখ ভাইরাসযুক্ত ইমেইল পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ডেফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক মাইকেল ভন ইটেন জানান, দেশের কমপিউটারগুলোকে ভাইরাসমুক্ত করতে এবং সাইবার আক্রমণ থেকে প্রতিহত করতে সরকারি পর্যায়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া কমপিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে কি-না এ বিষয়ে বিশেষ সংকেতিক ব্যবস্থাও চালু করতে হবে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১০