ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দুশ্চিন্তার প্রথমে ‘হ্যান্ডসেট হারানোর ভীতি’

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৩
দুশ্চিন্তার প্রথমে ‘হ্যান্ডসেট হারানোর ভীতি’

মানুষের দুশ্চিন্তা সীমাহীন, তবে প্রযুক্তির এ কালে মানুষের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ তার সবসময়ের সঙ্গী মোবাইল ফোনকে নিয়ে। মানুষের প্রাত্যহিক জীবন মোবাইল ফোন হারানোর আতঙ্কে কাটে সবসময় গবেষণার ফলাফলে এমন তথ্য উঠে এসছে।

   

ওয়ানঅ্যাসিস্ট কনজ্যুমার সলিউশন “ইন্ডিয়ান মেট্রো এবং তাদের প্রোফাইলের ৮ হাজার মানুষকে” নিয়ে গবেষণা চালায়। যাদের প্রায় ১০০ ভাগই মোবাইল ফোন হারানো নিয়ে উদ্বিগ্ন একইসাথে ফোনে থাকা কন্ট্রাক্ট নাম্বার, ব্যক্তিগত তথ্য এবং সংগৃহীত ছবি নিয়ে।

উদ্বেগের পরের সারিতে আছে জানজটে আটকে পড়া এবং গন্তব্যে পৌঁছতে বিলম্ব হওয়া নিয়ে। অংশগ্রহণকারীদের ৫৫ শতাংশ জানিয়েছে জানজটে আটকে পড়ার ভীতি তাদের শান্ত মনের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলে। ৭০ শতাংশ জানিয়েছে গন্তব্যে পৌছাতে দেরির ভয় বিশেষকরে কর্মস্থল বা নির্ধারিত ব্যক্তিগত স্থানে পৌঁছানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগে।  

প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য অন্যান্য দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে ওয়ালেট এবং ”বাড়ি, অফিস, গাড়ির চাবি” হারানো, বাচ্চাদের নিরাপত্তা, বাড়ির নিরাপত্তা, জরুরী চিকিৎসা, ইএমআইএস এর দায় এবং ভাল চাকরি পাওয়া নিয়ে।  

মানুষ জেনেশুনে পকেট কিংবা হ্যান্ডব্যাগের ‌পণ্যটির ব্যাপারে সবসময় উপলব্ধি করে এবং খোঁজ করে।
 “মোবাইল হচ্ছে আমার মস্তিস্ক এটা আমার পৃথিবী বর্তমান সময়ে আমি ‍অন্য কিছু স্বরণে রাখিনা কারণ মোবাইলে সবকিছু সংরক্ষণ করি। তাই যদি সেটি হারায় তবে সবকিছুই হারিয়ে যাবে কথাগুলি বলেন উদ্বেগ বিশ্লেষণে অংশ নেওয়া একজন।

উদ্বেগ বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ানঅ্যাসিস্ট কনজ্যুমার সলিউশন যারা মোবাইল এবং ওয়ালেটের নিরাপত্তা সমাধানও দেয়।

ব্যাঙ্গালুর ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানের প্রফেসর এবং উপাচার্য মিসেস থিমম্যাপপা বলেন মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, মোবাইল ফোন হারানো ছাড়াই তাদের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করছে । তাছাড়া আমাদের বেশিরভাগ মানুষই সবকিছু স্বরণে রাখা বন্ধ করে দিয়েছি সম্পূর্ণভাবে আমাদের ফোনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোনে যোগাযোগ নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে। গত বছরের মে মাসে যুক্তরাজ্যের ১ হাজার কর্মজীবিদের মধ্যে একটি জরিপ চালানো হয় যেখানে দেখা যায় ৬৬ ভাগ কর্মজীবির সেল ফোন আতঙ্ক বেড়েছে। এর এক বছর পূর্বে সিকিউআরএনভয় একই ধরনের গবেষণা চালায় যখন তারা দেখেছিল মানুষ তাদের ফোন দিনে গড়ে ৩৪ বার খোঁজ করে।

যদিও মোবাইল ফোন অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহন করে কিন্তু দেখা গেছে ইন্ডিয়ানরা ডাটা ব্যাকআপে রাখেনা। অন্যদিকে প্রযুক্তির অবদানে “ নিরাপত্তাবলয় তৈরি, ব্যাক আপ করা সহজ। দুর থেকেও চাইলে ঠিকভাবে মোবাইল ফোনের পুরো ডাটা সরিয়ে ফেলা সম্ভব একবার যদি কেউ এমন সমস্যার মুখে পড়ে কথাগুলো বলেন সুব্রত পনি যিনি ওয়ানঅ্যাসিস্টের পরিচালক ও সহ প্রতিষ্ঠাতা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।