ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জুনেই দেশের ই-বাণিজ্যে পেপাল চালু

আইসিটি রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৩
জুনেই দেশের ই-বাণিজ্যে পেপাল চালু

‘ঘরে বসে কেনাকাটার উৎসব’ বার্তায় সিলেটের মোহাম্মদ আলী জিমনেশিয়ামে ই-বাণিজ্য মেলা চলছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের পৃষ্ঠপোষকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণ সহায়ক ‘সিলেট ই-বাণিজ্য মেলা ২০১৩ ও ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা’ এর আয়োজক সিলেট জেলা প্রশাসন ও মাসিক ‘কমপিউটার জগৎ’।



বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ প্রদর্শনীর অনলাইন মিডিয়া পার্টনার হিসেবে কাজ করছে দেশের সক্রিয় বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।

এ ছাড়ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র বদর উদ্দিন কামরান, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার এনএম জিয়াউল আলম, সিলেট জেলা প্রশাসক খান মোহাম্মদ বিলাল, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, কমপিউটার জগৎ-এর সহকারি সম্পাদক এমএ হক অনু এবং প্রদর্শনীর সমন্বয়কারী মোহাম্মদ এহতেশাম উদ্দিন মাসুম।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বর্হিবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অনেক আগেই ই-বাণিজ্যের সূচনা হলেও তা বেশি দূর এগোতে পারেনি। এর মূল কারণ সচেতনার অভাব। বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের যে পরিকল্পনা নিয়েছে সেখানে ই-বাণিজ্যকেও বিবেচনা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরির প্রক্রিয়াও চলছে। আর ই-বাণিজ্যে অর্থ লেনদেন সহজ করতে অনেকদিন ধরেই সবার দাবি ছিল বাংলাদেশে পেপাল চালু করা। অভ্যন্তরীন কিছু বিষয় সম্পন্ন করার কারণেই এতদিন দেরি হয়েছে।

আগামী দেড় মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে পেপালের যাত্রা শুরু হবে। পেপাল আসলে ই-বাণিজ্যেয় সমস্যা কমে যাবে। এ ছাড়া ই-বাণিজ্যের প্রসার ও সাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও কমপিউটার জগৎ এ প্রদর্শনী বিভাগীয় শহরগুলোতে ছড়িয়ে দেবে। আগামীতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ প্রদর্শনীর সম্প্রসারণ করা হবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র বদর উদ্দিন কামরান বলেন, সিলেট দেশের একটি অন্যতম জেলা। অনেকে প্রবাসে বসবাস করছেন। এ বাণিজ্য প্রদর্শনী প্রবাসীদের অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ে আগ্রহী করবে। প্রবাসী বিদেশ থেকে তার প্রিয়জনদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপহার কিনে দিতে পারবেন।

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার এনএম জিয়াউল আলম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় মানুষ এখন ঘরে বসেই সব কিছু পেতে চায়। আর এ কাজকে সহজ করেছে ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই এ প্রদর্শনীকে বাংলাদেশের বিভাগীয় পর্যায়ের পর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ও ছড়িয়ে দিতে হবে।

সিলেট জেলা প্রশাসক খান মোহাম্মদ বিলাল বলেন, এখনই সময় ই-কমার্স ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করে তোলা। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে কাজ করবো।

এ প্রদর্শনীর আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, দেশে ই-কমার্স সম্পর্কে জনসচতেনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই এ আয়োজন। গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় দেশের প্রথম ই-বাণিজ্য প্রদর্শনী সম্পন্ন হওয়ায়, কমপিউটার জগৎ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এ প্রদর্শনী পর্যায়ক্রমে ৬টি বিভাগে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই অংশ হিসেবে সিলেটে দেশের দ্বিতীয় ই-বাণিজ্য প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী ই-কমার্সের সঙ্গে জড়িত দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরবে। এবারে মোট ৪৫টি স্টল ছাড়াও ৪৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। এতে পণ্য ও সেবা ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুযোগ থাকবে। এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে আছে বিভিন্ন আয়োজন।

আয়োজকরা জানান, ই-বাণিজ্য প্রদর্শনীর প্ল্যাটিনাম স্পন্সর হিসেবে আছে অনলাইন পেমেন্ট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এসএসএল কমার্জ ও কমজগৎ টেকনোলজিস। গোল্ড স্পন্সর ই-সুফিয়ানা ও সিজে সফট। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করছে অর্পণ কমিউনিকেশন।

এ ছাড়া পার্টনার হিসেবে আছে এখনই ডটকম, ক্রিয়েটিভ আইটি, এএমডি গিগাবাইট, বিডিওএসএন, সফট কল এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগ।

এবারের প্রদর্শনীর আপডেট পেতে (www.facebook.com/ECommerceFair) এ ঠিকানার তথ্য পাওয়া যাবে। এ ছাড়া অফিসিয়াল সাইট (www.e-commercefair.com) থেকেও জানা যাবে প্রয়োজনীয় তথ্য। তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর অনুষ্ঠানা (www.comjagat.com) সাইটে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময় ১৭৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।