ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইনহীন দেশের প্রত্যাশা করেন গুগল সিইও

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৩
আইনহীন দেশের প্রত্যাশা করেন গুগল সিইও

বিশ্বপ্রযুক্তির অঙ্গনে আইন মুক্ত দেশের স্বপ্ন দেখেন গুগল সিইও ল্যারি পেজ। আজকের আধুনিক দুনিয়ায় মানুষ অনেক বেশি শান্তিপ্রিয় হয়ে উঠছেন বলে তিনি মনে করেন।



আর সেজন্য প্রযুক্তির নিত্যনতুন আবিষ্কারকে আইনের বেড়াজালে আবদ্ধ না করে তা মানুষের কল্যাণে অবমুক্ত করতে হবে। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রানসিসকোতে অনুষ্ঠিত গুগলের বার্ষিক সম্মেলনে ল্যারি পেজ বলেন, বিশ্বে শান্তিপ্রিয় মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিপরীতে পুরোনো ধাচের প্রাতিষ্ঠানিক রীতিনীতি বদলাচ্ছে না। এখনো অনেক দেশে ৫০ বছরের পুরোনো আইনেই সবকিছু চলছে। এটা প্রত্যাশিত নয়।

এখন বিশ্বের সঙ্গে ইন্টারনেট নামক যোগাযোগমাধ্যম জুড়ে গেছে। কাজেই অনেককিছুই রাতারাতিই বদলে গেছে। শিল্পখাত এবং ব্যবসা যোগাযোগ এখন আগের মত নেই। দ্রুতই সবকিছু সম্পন্ন হয়। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে।

এমনকি গুগলের এ সম্মেলনও বিশ্বের ১০ লাখ আগ্রহী ইন্টারনেটের সুবাদে সরাসরি (লাইভ) উপভোগ করেছেন। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনাগুলো এখনো বিশ্বের একপাশেই রয়ে গেছে। ফলে আইনি জটিলতায় তা বিশ্বের সব মানুষের কাছে সমানভাবে উপভোগ্য হচ্ছে না। এ অর্থে বিশ্ব এখনো সীমাবদ্ধতার মধ্যেই রয়ে গেছে। এর একমাত্র কারণ আইন। আর তা অবশ্যই কাটিয়ে উঠতে হবে।

বিশ্বের যোগাযোগমাধ্যম আর সামাজিক আচরণ বদলে ফেলতে গুগল অন্যতম ভূমিকা রেখেছে। শুধু প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য আর সেবা দিয়েই নিজেকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে গুগল।

কিন্তু উদ্ভাবিত সেবাগুলো আইনি জটিলতার কারণে এখনো মানুষের কাজে আসছে না। চালকহীন গাড়ির উদাহরণ টেনে ল্যারি বলেন, গুগল চালকহীন গাড়ি চালানোর পরীক্ষিত কৌশল উদ্ভাবন করেছে।

প্রসঙ্গত, গত এক বছর ধরে সানফ্রানসিসকোর শহুরে রাস্তায় গুগল নিয়ন্ত্রিত গাড়ি কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই সফল হয়েছে। কিন্তু আইনি অনুমোদন ছাড়া এ গাড়ি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে সুফলটা কিন্তু মানুষের অনুকূলে যাচ্ছে না।

এ ছাড়াও গুগল গ্লাসের মাধ্যমে ভোক্তারা যে কোনো মুহূর্তের ছবি এবং তথ্য চটজলদি ইন্টারনেট কিংবা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ব্যক্তি স্বাধীনতা আর জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে এ পণ্যের বাণিজ্যিক বিপণন অনিশ্চিতার মধ্যে পড়েছে।

এ ধরনের উদ্ভাবনা যদি মানবসভ্যতার কল্যাণেই ব্যবহার করা না যায় বা দেরি হয় তাহলে মানুষ উদ্ভাবন করেও পিছিয়ে থাকবে। এ পরিস্থিতি মোটেও কাম্য নয়।

এ মুহূর্তে প্রতিটি দেশের উচিত দ্রুত এবং সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োজনে নতুন আইন প্রবর্তন করা। এমনটা হলেই আইন মুক্ত প্রযুক্তির বিশ্ব আরো বেশি মানুষের জন্য সার্বিক সুফল বয়ে আনবে।

বাংলাদেশ সময় ০৮৩৯ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।