এখন প্রাত্যাহিক উন্মাদনার আরেক নাম ফেসবুক। কিন্তু অনেকেই ফেসবুকে ব্যক্তিগত তথ্য বিনিময়ে সচেতন নন।
সূত্র মতে, গত তিন বছরে ফেসবুকের কারণে বিশ্বে খুন, ধর্ষণ, শিশু যৌন হয়রানী, ভয় প্রদর্শন, মারামারি, চুরি ও ডাকাতির পরিমাণ অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে গেছে।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল সূত্র জানিয়েছে, মূলত ফেসবুকে নিজের তাৎক্ষণিক স্ট্যাটাস আপডেট, নিজের ও নিজের বাড়ির বিভিন্ন অংশের ছবি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নিজের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন তথ্য বিনিময়ের কারণেই অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে।
এমনকি ফেসবুক ব্যবহারকারীরা কখন নিজের ঘরে থাকে আর কখন থাকেন না তাও সবার সঙ্গে বিনিময় করা হয়। ফলে সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজদের কাছে এ তথ্য বেশ সহায়ক হয়।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য দিতে অসচেতন হলেও অপরাধীরা কিন্তু তথ্য সংগ্রহে বিন্দুমাত্র কালবিলম্ব করে না। বরং তারা সবসময় নিত্যনতুন তথ্যের অপেক্ষায় থাকেন। নজর রাখেন বিশেষ তথ্যগুলোর দিকে। যা নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে আক্রমণ করায় যথেষ্ট।
এ তথ্যগুলো পাচার হওয়ার আরেকটি কারণ হিসেবে ডেইলি মেইল সূত্র উল্লেখ করে, ফেসবুকে বন্ধুদের সঙ্গে তথ্য বিনিময়ে কোনো নিরাপত্তাবলয় আছে কি-না তাও অনেকে সঠিকভাবে অবগত নন। এ কারণেই অপরিচিত এবং কুচক্রী মহলের কাছে এ তথ্য অকাতরেই পৌঁছে যায়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১০