ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিশ্বের শীর্ষ ৩০টি আউটসোর্সিং দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

সাব্বিন হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১০
বিশ্বের শীর্ষ ৩০টি আউটসোর্সিং দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইটি গবেষণানির্ভর প্রতিষ্ঠান গার্টনার তাদের সবশেষ সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে বিশ্বের ৩০টি আইটিনির্ভর আউটসোর্সিং দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। উল্লেখ্য, এবারই প্রথম শীর্ষস্থানীয় কোনো আইটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আউটসোর্সিং তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে এ সম্মেলনে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গার্টনার প্রতি বছরই শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করে থাকে। বেসিস নির্বাহীদের ভাষ্যমতে, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য এটি একটি বড় অর্জন। ভবিষ্যতে এ স্বীকৃতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

এ বছর বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের আরও ৪টি নতুন দেশ এ তালিকায় স্থান পেয়েছে। অন্য দেশগুলো হচ্ছে বুলগেরিয়া, কলম্বিয়া, মরিশাস এবং পেরু। উল্লেখ্য, এশিয়া মহাদেশে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। এশিয়ার অন্য সব দেশগুলো হচ্ছে ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম।

উল্লেখ্য, ১০টি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে এ র‌্যাংকিং তৈরি করা হয়। এর মধ্যে শ্রমমূল্য সুবিধা, জনশক্তি, শিক্ষা পদ্ধতি, অবকাঠামো, সরকারি সহায়তা এবং ভাষা অন্যতম।

বাংলাদেশের শ্রমমূল্য, জনশক্তি এবং সরকারি সহায়তা ‘ভাল’ এবং ‘মোটামুটি ভাল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিপরীতে প্রধান বিষয়গুলো বিশেষত অবকাঠামো, ভাষা, মেধাসত্ত্ব, তথ্য নিরাপত্তার বিষয়কে নিম্নমান হিসেবে র‌্যাংকিং করা হয়েছে।

নিম্নমান হিসেবে চিহ্নিত বিষয়গুলোর মধ্যে অবকাঠামোগত মানোন্নয়নে সরকারি সহায়তা না পাওয়া গেলে ভবিষ্যতে গার্টনারের তালিকায় বাংলাদেশের এবারের অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব হবে না।

এ অবস্থায় বেসিস দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল স্থাপন এবং ইন্টারনেটের ব্যয় কমিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে জরুরী ভিত্তিতে একাধিক সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনে বিশেষ বাজেট বরাদ্দ্দের কথাও জানানো হয়।

অন্যদিকে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেল অনুসরণ করে সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি তৈরিসহ তাদের তথ্যপ্রযুক্তি এবং ভাষাগত দক্ষতা বাড়ানোর কথা বলা হয়।

এরই মধ্যে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বেসিস ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম) প্রতিষ্ঠার জন্য বেসিস থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগ্রহীরা www.gartner.com এ সাইটে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।

এ সম্মেলনে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বেসিস সভাপতি মাহবুব জামান, সিনিয়র সহসভাপতি ফাহিম মাশরুর, সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান, মহাসচিব ফোরকান বিন কাশেম, যুগ্ম মহাসচিব তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন এবং বেসিসের নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্য একেএম সাব্বির মাহবুব এবং বেসিস সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৩৬, ডিসেম্বর ২৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।