চার্জার বিড়ম্বনায় পড়েননি এমন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া কঠিন। এমন তো প্রায়ই হয়, বেড়াতে গিয়েছেন অথচ মোবাইল ফোনের চার্জার নিতে ভুলে গেছেন।
করবেন কী তখন? চার্জার হয়ত পাওয়া যাবে। কিন্তু তা আপনার মোবাইল ফোনের চার্জার পোর্টের সঙ্গে মিলবে কিনা তাও একটা প্রশ্ন। তাই মোবাইল ফোন চার্জ নিয়ে ব্যবহারকারীদের কম-বেশি ঝামেলায় তো পড়তেই হয়।
মোবাইল ফোনের এ অসুবিধা দূর করতে নতুন বছরই আসছে অভিন্ন (ইউনিভর্সেল) মোবাইল ফোন চার্জার। এরই মধ্যে মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট চার্জার উন্মুক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশ্বের ১৪টি খ্যাতনামা মোবাইল ফোন নির্মাতা নতুন মানের চার্জারের ব্যাপারে এক হয়ে ইউরোপীয় কমিশনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের জুনে একটি চুক্তি স্বার করেন।
উল্লেখ্য, সব ধরনের মোবাইল ফোনে এ চার্জার ব্যবহারযোগ্য হবে। এ সেবা দিতে সক্ষম মাইক্রো ইউএসবি কানেক্টর। এরই মধ্যে এর আনানুষ্ঠানিক ব্যবহারও শুরু হয়ে গেছে। নকিয়া, স্যামসাং, আ্যপেলসহ রিসার্চ মোশনের ব্ল্যাকবেরি ফোনে এ কানেক্টর ব্যবহার হচ্ছে।
শুধু ১৪টি প্রতিষ্ঠানই সার্বজনীন এ পোর্ট ব্যবহারের জন্য সন্মত হয়েছে তা নয়। বরং এর বাইরেও অন্য সব মোবাইল ফোন নির্মাতা এ ব্যাপারে ঐক্যমতের কথা জানিয়েছে। এছাড়াও চার্জারের এ সুবিধাযুক্ত মোবাইল ফোন তৈরির জন্য তারা প্রস্তুত।
ইউরোপীয় কমিশনের সহসভাপতি জানান, মোবাইল ফোন নির্মাতার জন্য এখনই সময় সব মোবাইল ফোনের জন্য একই চার্জার ভুক্ত মোবাইল ফোন তৈরি করা। একই চার্জার একদিকে যেমন ব্যবহারকারীর জীবনকে করবে সহজ। অন্যদিকে অহেতুক ঝামেলা এবং চিন্তা কমিয়ে দেবে। এটি পদ্ধতি পরিবেশের জন্যও উপকারী।
কারণ অনেক সময় দেখা যায় একজন ব্যবহারকারী অন্য কোথাও গেলে প্রয়োজনের তাগিদে মোবাইল ফোনের জন্য নতুন চার্জার কেনে। যদিও তার বাসায় চার্জার থাকে। আর স্বল্প ব্যবহারের পর বাড়তি চার্জারটি অনেক সময় ফেলে দিতে হয়। যা আমাদের পরিবেশের জন্য তিকর।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২২৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১১