ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০০ জিলকদ ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অফবিট :.

কন্যাশিশুর সুশীল আচরণ গড়তে ভিডিও গেম সহায়ক!

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২৬, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১১
কন্যাশিশুর সুশীল আচরণ গড়তে ভিডিও গেম সহায়ক!

ভিডিও গেম শিশু চরিত্র গঠনে সহায়ক। বিষয়টি বিভ্রান্তিকর মনে হলেও এ ধারণা এখন সত্য।

বার্মিংহ্যাম ইউনিভার্সিটি সূত্র এমন তথ্যই জানিয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তির বর্ণিল এবং সৃষ্টিশীল আবহে সব বয়সীরাই অবকাশে ভিডিও গেম খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। সব বয়সীদেরই গেমের প্রতি বাড়তি কৌতূহল লক্ষ্য করা যায়।

এ বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বার্মিংহ্যাম ইউনিভার্সিটির গবেষকরা শিশুদের উপর সুনির্দিষ্ট গবেষণা পরিচালনা করেছে।

গবেষণার ফলাফল চমকপ্রদ। ভিডিও গেম কন্যাশিশুদের পারিবারিক সভ্য আচরণ গড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখে এমনই তথ্যই উঠে আসে।    

তাই কন্যাশিশুদের জন্য গেম কনসোলের বরাদ্দ এখন আর মোটেও অযৌক্তিক কোনো উদ্যোগ নয়।

টিওআই সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে প্রকাশ, যেসব বাড়ন্ত কন্যাশিশু তাদের পিতামাতার সঙ্গে ভিডিও গেম খেলে তাদের সভ্য, সুস্থ মানসিক অবস্থা এবং অন্তরঙ্গ হওয়ায় অনুভূতিটা বেশি কাজ করে।

উল্লেখ্য, গবেষকদল ২৮৭টি পরিবারের ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের উপর এর গবেষণা পরিচালনা করে। এ গবেষণায় উঠে আসে, কন্যাশিশুদের তুলনায় ছেলেরা তুলনামূলক ভিডিও গেম বেশি খেলে।

দুটি দলে পরিচালিত মানসিক অবস্থার বিচারে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রভাব পাওয়া যায়। এসব ভিডিও গেমপ্রেমী শিশুরা পিতামাতার সঙ্গে তুলনামূলক অন্তরঙ্গ হয়। আর এ ধরনের গেমভিত্তিক অনুশীলন পরিবারের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে বিশেষভাবে সহায়ক।

উপস্থাপিত জরিপ মতে, অভিভাবকদের সঙ্গে ভিডিও গেম খেলার প্রভাব ছেলে শিশুদের আচরণে তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না। কারণ ছেলে শিশুরা অভিভাবকদের তুলনায় বন্ধুদের সঙ্গে গেম খেলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।

গবেষণা উদ্যোগের প্রধান অধ্যাপক সারাহ কয়েন জানান, এ বিষয়টি বিস্ময়কর। বালকদের তুলনায় বালিকারা ভিডিও গেম কম খেলে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।