ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

মিলিনিয়াম টেকনোলজি পুরস্কার পেল নতুন সৌর শক্তির উদ্ভাবক

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৪ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১০

সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সম্মাননা ‘মিলিনিয়াম টেকনোলজি প্রাইজ’ ঘোষণা করা হয়। ফিনল্যান্ড টেকনোলজি অ্যাকাডেমি প্রতি বছর বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বিজ্ঞানীদের সম্মাননা পুরস্কার দিয়ে থাকে।

এবার মিলিনিয়াম টেকনোলজি পুরস্কার জিতে নেন লউসেন ফেডারেল ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী প্রফেসর মাইকেল গ্র্যাটজেল। তাকে পুরস্কার হিসেবে ৬ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড দেওয়া হয়। প্রাপ্ত অর্থ গবেষণা কাজে ব্যয় করা হবে বলে তিনি জানান। উদ্ভিদ থেকে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করায় তিনি সম্মাননা পুরস্কারটি পান।

উদ্ভিদ সূর্য থেকে যে তাপ গ্রহণ করে, তা কাজে লাগিয়ে সৌরবিদ্যুৎ তৈরি করাই মূলত প্রফেসর মাইকেল গ্র্যাটজেল উদ্ভাবিত প্রযুক্তি। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে তিনি ‘গ্র্যাটজেল সেল’ উদ্ভাবন করেন। গ্র্যাটজেল সেল সাধারণত ন্যানোটেকনোলজির আদলে পরিচালিত। যা সূর্যরশ্মিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করে। এরই মধ্যে তাঁর নামে করা গ্র্যাটজেল সেলের ব্যবহারও  শুরু হয়ে গেছে। এ মুহুর্তে গ্র্যাটজেল সেল ব্যবহারে ব্যাটারি চার্জ করার যন্ত্র তৈরি এবং বিপণন করা হচ্ছে।    

প্রফেসর মাইকেল গ্র্যাটজেলের সঙ্গে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর স্যার রিচার্ড ফ্র্যান্ড ও ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর স্টিফেন ফারবার মিলেনিয়াম টেকনোলজি সম্মাননায় ভুষিত হন। তাদের প্রত্যেকের পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ লাখ ২৪ হাজার পাউন্ড। অরগানিক লাইট ইমিটিং ডায়ডস উদ্ভাবন করায় স্যার রিচার্ড পুরস্কার পান। ফিনল্যান্ড টেকনোলজি অ্যাকাডেমি সূত্র জানায়, অরগ্যানিক লাইট ইমিটিং ডায়ডস এর উদ্ভাবন প্ল্যাস্টিক ইলেকট্রনিকস প্রযুক্তির মাইলফলক। স্যার রিচার্ডের এই উদ্ভাবনের ফলে ভবিষ্যতের ইলেকট্রনিক পেপার, স্বল্পমূল্যের সোলার সেল ও ইলিউমিনেটিং ওয়ালপেপার তৈরির কাজটি আরও সহজ হয়ে যাবে। অন্যদিকে স্যার স্টিফেন ফারবার এআরএম ৩২ বিট আরআইএসসি মাইক্রোপ্রসেসরের নকশা উদ্ভাবন করেন। যা ক্রমবর্ধমান মোবাইল ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির অপ্রত্যাশীত উন্নয়ন ঘটাবে।

উল্লেখ্য, আগের বছরগুলোতে ওয়েব উদ্ভাবন করায় স্যার টিম বার্নাস লি এবং ব্লু-হোয়াইট লাইট ইমিটিং ডায়ডস উদ্ভাবনের জন্য প্রফেসর সুজি নাকামুরা মিলিনিয়াম টেকনোলজি পুরস্কার পান।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১২৫৬ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১০
এমআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।