ঢাকা: ইন্টারনেট সেবা বিস্তারের পাশাপাশি আপত্তিকর বিষয় আটকানোর ব্যবস্থাও করতে হবে। সে উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারে আন্তর্জাতিক নীতিমালা তৈরি হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি গোল্ড ওয়াটার কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত দুইদিনের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
‘বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক অপারেটরস গ্রুপ’ এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ইনু বলেন, মানহানিকর মন্তব্য এবং ছবি প্রকাশ করলে সমাজের শান্তি নষ্ট হয়। কখনো কখনো রাষ্ট্রের নিরাপত্তাও হুমকির সম্মুখীন হয়। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার এবং ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি একটি স্বচ্ছ কাচের ঘর তৈরি করেছে। সেখানে যেমন নারী বসবাস করেন, তেমন শিশুরাও বসবাস করে। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া রাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে না পারলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। একইসঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারেও স্বচ্ছতা থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সব শ্রেণীর মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছে কিনা, ব্যান্ডউইথের দাম কত হবে, প্রযুক্তি ও নিরাপত্তার আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করাও নীতিমালায় আনতে হবে।
তাৎক্ষণিক তথ্য ও ছবি প্রকাশ এবং প্রচারের ক্ষেত্রে মিথ্যা, গুজব এবং আপত্তিকর বিষয়গুলো নির্দিষ্ট করে সত্যকে তুলে ধরার জন্য এসময় গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ অনেক উন্নয়ন করেছে। গত পাঁচ বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ২৪ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করে থাকেন। আগামী পাঁচ বছরে এ হার ৭৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
সম্মেলনে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক অপারেটরস গ্রুপের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ সাব্বির, গ্রুপের সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৪