ঢাকা: ভাবতে অবাক লাগছে, চাঁদেও পাওয়া যাবে ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড সংযোগ। তাহলে কি শিগগিরই মানুষের বসতি গড়ে উঠবে সেখানে!
কবে সেখানে মনুষ্য বসতি গড়ে উঠবে, সেটা সাধারণ মানুষ না জানলেও বিজ্ঞানীরা কিন্তু বসে নেই।
এদিকে, সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী এমন একটি মডেম আবিষ্কার করেছেন, যা চাঁদে ব্রডব্যান্ড সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেট যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির এক দল গবেষক এ কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন। তারা জানান, আকাশ পথে চাঁদে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে যেতে কোনো বাধা নেই।
তারা জানান, কেবল তাই-ই নয়, বৃহদাকার ডাটা পারাপারের পাশাপাশি হাই-ডেফিনেশন (এইচডি) ভিডিও স্ট্রিমিংও করা যাবে সেখানে।
বিশেষজ্ঞ দল লেজার লাইটভিত্তিক একটি যোগাযোগ যন্ত্রের সাহায্যে পৃথিবী থেকে চাঁদে ডাটা পাঠানোর পরীক্ষামূলক চেষ্টায় সফল হয়েছেন।
তারা নিউ মেক্সিকো থেকে ছয় ইঞ্চি ডায়ামিটার সমৃদ্ধ টার্মিনাল থেকে চারটি পৃথক টেলিস্কোপের মাধ্যমে চাঁদে সিগন্যাল পাঠাতে সক্ষম হন। ডাটা পাঠানোর ক্ষেত্রে ফটোডিটেক্টর মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
গবেষক মার্ক স্টিভেন বলেন, এই প্রথম আমরা একদিকে যেমন এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছি, অন্যদিকে লক্ষ রেখেছি যে, কীভাবে এই প্রক্রিয়াটি কাজ করে!
তারা জানান, পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদের এই যোগাযোগ স্থাপন করা খুবই চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয় ছিল। কারণ, পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকে চাঁদের যে প্রান্তে ইন্টারনেটের সিগন্যাল পাঠানো হবে, আকাশ পথের দূরত্ব ৪ লাখ কিলোমিটার। সে পৃথিবী পৃষ্ঠের মেঘরাশির ঘনত্ব একটি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, এরকম একটি ধারণা নিয়েই কাজ করতে হয়েছে।
সে কারণে সব সময় তাদের মেঘের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, এটি কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৪