ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইভেন্ট আপডেট :

৫ দিনব্যাপী বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো চলছে

সাব্বিন হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১১
৫ দিনব্যাপী বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো চলছে

৯ মার্চ বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো২০১১ এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) উদ্যোগে এ কমপিউটার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।



এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এবং বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন বিসিএস ডিজিটাল এক্সপোর আহবায়ক ও মহাসচিব মজিবুর রহমান স্বপন, প্রদর্শনীর প্ল্যাটিনাম স্পন্সর কিউবি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেরি মবস।

কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী জানান, বিশ্বায়নে এগিয়ে যেতে তথ্যপ্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। এরই মধ্যে দেশের কৃষি গবেষণায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। এর প্রমাণ পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন। তবে এ শিল্পের মানোন্নয়নে তরুণ শিক্ষার্থীদের আরও উৎসাহিত করতে হবে।

তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ জানান, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ও সহজলভ্যতা মানুষের জীবনকে বদলে দিয়েছে। আর গতিশীলতার মূল হাতিয়ার আইসিটি।

কবিতার ভাষায় বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান জানান, প্রযুক্তি প্রগতির পথ বলে গণ্য/ডিজিটাল বাংলাদেশ হতে হবে সকলের জন্য।

বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আরও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। তার ভাষায়, স্থবীর ও লক্ষ্যহীন তথ্যপ্রযুক্তি গতিশীলতা পেয়েছে, পেয়েছে ঠিকানা।

উল্লেখ্য, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৬৬টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান ৭৩টি স্টল এবং ২৯টি প্যাভিলিয়ন এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে। জমকালো আয়োজন থাকবে পুরো প্রদর্শনীজুড়ে।

এ প্রদর্শনীতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের পন্থা নির্ধারণ’ শীর্ষক ‘ভার্চুয়াল প্রকল্প প্রতিযোগিতায় সেরা তিন প্রকল্পের দিনব্যাপী আয়োজন থাকবে। এ প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেবে ওয়াইম্যাক্স।

আরও থাকছে অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং, আইপি টিভি, অনলাইন রেডিও, ইন্টারনেট গেমভিত্তিক নানা আয়োজন। শিশুদের জন্য থাকছে ভিডিও গেম খেলার সুযোগ। বিনোদনে প্রতিদিনই থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে বাংলার আবহমান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নান্দনিক দিক উপস্থাপন করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রবেশমূল্য ২০ টাকা। তবে স্কুল শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র প্রদর্শনে বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। প্রতিদিনই থাকছে র‌্যাফেল ড্র। আর বিজয়ীদের জন্য থাকবে পুরস্কার।

উদ্বোধনী দিন ৯ মার্চ বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আর ১০ থেকে ১৩ মার্চ এ প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এ প্রদর্শনীর প্ল্যাটিনাম স্পন্সর কিউবি। গোল্ড স্পন্সর আসুস, স্যামসাং এবং বাংলাদেশি সফটওয়্যার বাংলাদেশ ডিজিটাল ডিরেক্টরিস।

সিলভার স্পন্সর ডেস্কটপ প্রিন্টিং ব্র্যান্ড কনিকা মিনোলটা, ইকারাস ইনফোটেক লিমিটেড ও মাইক্রোসফট। প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করছে স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি।

এছাড়া টিকেট ও টিকেট কাউন্টার এবং ভলান্টিয়ার ড্রেস স্পন্সর করছে ইন্টারনেট সিকিউরিটি সফটওয়্যার পিসি সিকিউরিটি শিল্ড, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার স্পন্সর থাকছে ব্র্যান্ড অ্যাপোলো আইপিএস।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৪৩৪, মার্চ ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।