ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

গতি পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট

মফিজুল সাদিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৪
গতি পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ছবি :সংপৃহীত

ঢাকা: টেলিকমিউনিকেশন, ব্রডকাস্টিং, ভিডিও কনফারেন্স, ই-লার্নিং, আবহাওয়া, প্রতিরক্ষা আর গবেষণায় বিশ্বের উন্নত দেশের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলবে বাংলাদেশ। দূর আকাশ থেকে আসবে তথ্য।

তার ভিত্তিতে নেওয়া হবে কার্যকর সিদ্ধান্ত। তাতে সম্মৃদ্ধির পথে হাঁটবে দেশ।

পরিবর্তনের এসব প্রত্যাশা নিয়ে মহাকাশে প্রথম উৎক্ষেপণ হতে যাচ্ছে  বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু’। মঙ্গলবারই ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ’ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে যাচ্ছে  পরিকল্পনা কমিশন।

দেশের স্যাটেলাইট টিভি অপারেটররা বিদেশ থেকে বিভিন্ন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপকদের কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ ভাড়া করে সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগের চাহিদা পুরণ করে। এতে প্রতিবছর ১১০ কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে যায়। স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু’ সে খরচ কমাবে।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি ৪০টি ট্রান্সপন্ডার ক্যাপাসিটি সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে ১২টি বাংলাদেশের নিজস্ব চাহিদা পূরণের জন্য রাখা হয়েছে। বাকি ২৮টি ট্রান্সপন্ডারের ক্যাপাসিটি বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করাও সম্ভব হবে। ফলে প্রকল্পটি আর্থিকভাবে লাভজনক হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ( ভৌত অবকাঠামো বিভাগ) আরাস্তু খান বাংলানিউজকেজানান, ভারত এ পর্যন্ত ৭৮টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। এমনকি শ্রীলঙ্কাও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। কিন্তু ১৬ কোটির জনবল দেশ বাংলাদেশে একটিও স্যাটেলাইট নেই। তাই প্রকল্পটি ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে ইন্টারনেট ও ব্রডকাস্টিংয়ের জন্য ভালো হবে। ’

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি খাত থেকে ১ হাজার ৩১৫ কোটি ৫১ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে ১ হাজার ৬৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ব্যয় মেটানো হবে।

জুলাই ২০১৪ থেকে জুন ২০১৭ মেয়াদে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ মিশন(বিটিআরসি)র তত্বাবধানে প্রকল্পটি গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর এবং রাঙ্গামাটি জেলার বেতবুনিয়া এলাকায় বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্পের স্পেস লোকেশন ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমা রেখা। এই এলাকায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের(বিটিসিএল) নিজস্ব জমিতে দুটি স্যাটেলাইট কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

দেশের ক্যাবল টিভি ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রাম পর্যায় পযর্ন্ত ডিরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) সেবা দিয়ে বিদ্যমান তথ্য প্রযুক্তির বৈষম্য দূর করা হবে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।  

দেশে বিদ্যমান নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়াও এর ফলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও তথ্যপ্রযুক্তির পরিধি বড়বে বলেও জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি আরবিটাল স্লটে স্থাপনের পর এর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য একটি নতুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।