ঢাকা: পণ্য সংরক্ষণে কৃষকদের জন্য নতুন কোল্ড স্টোরেজ সিস্টেম উদ্ভাবন করেছেন ভারতের একদল তরুণ প্রকৌশলী। সিস্টেমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সোলার-পাওয়ারড কোল্ড স্টোরেজ সিস্টেম’।
পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (আইআইটি) একদল শিক্ষার্থী এ সিস্টেম উদ্ভাবন করেছেন। পরীক্ষামূলকভাবে কর্নাটক ফার্মল্যান্ডে এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। এ পদ্ধতি সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলেও জানান প্রকৌশলী দলনেতা বিবেক পান্ডে।
তিনি বলেন, পুরো বছরজুড়ে কোনো খরচ ছাড়াই কৃষকরা সোলার-পাওয়ারড কোল্ড স্টোরেজ সিস্টেম’র মেশিনটি ব্যবহার করতে পারবেন। এ ধরনের সিস্টেমে এমন সুবিধা সম্পন্ন এটিই প্রথম মেশিন বলে দাবি তার।
‘ইকোফ্রস্ট টেকনোলজি’র ব্যানারে তরুণ এ শিক্ষার্থীরা আগামী মাসে পুনেতে মেশিনটির উৎপাদন ও সংযোজনের কাজ শুরু করবেন বলে জানান পান্ডে।
থার্মাল স্টোরেজ পদ্ধতিতে তৈরি এ সিস্টেমে ব্যবহৃত কর্ম্পাটম্যান্ট শীতলতার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে। আর সিস্টেমে ব্যবহার করা হবে ২.৫-৩.৫ কিলোওয়াটের সোলার প্যানেল।
![Solor_1 Solor_1](files/September_2014/September_21/Solor_1_108472198.jpg)
সোলার প্যানেলে উৎপাদিত পাওয়ার সরাসরি কমপ্রেসারে চলে যাবে, যা প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা যাবে। আর এতে ব্যাটারির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে থার্মাল স্টোরেজ ইউনিট। যা সূর্যের আলোর অনুপস্থিতিতে টানা ৩৬ ঘণ্টা পাওয়ার সরবরাহ করতে সক্ষম হবে বলে জানান তরুণ এ নির্মাতা।
বর্তমানে ব্যবহৃত সোলার পাওয়ার ইউনিট ২-৩ বছরের মধ্যে পরিবর্তন করতে হয়। আর এর পরিচালন ব্যয়ও অনেক।
যেসব এলাকায় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া দুরূহ, বিশেষ করে সেসব এলাকায় এ সিস্টেম চালুর কথা বলেন পান্ডে। এর ফলে কৃষকদের খরচ কমবে। আর তাদের জীবনযাত্রা উন্নত হবে বলে মনে করেন তিনি।
ইতোমধ্যে সিস্টেমটির জন্য অর্ডার পাওয়া শুরু করেছেন জানিয়ে পান্ডে বলেন, আগামী পাঁচ বছরে এ রকম বিশ হাজার কোল্ড স্টোরেজ তৈরির ইচ্ছে রয়েছে। এ ধরনের কোল্ড স্টোরেজে পাঁচ মেট্রিক টন পণ্য রখা সম্ভব বলেও জানান পান্ডে।
![Solor_2 Solor_2](files/September_2014/September_21/Solor_2_470946151.jpg)
সম্প্রতি ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি প্রতিযোগিতায় তাদের এ উদ্ভাবন প্রথম স্থান অর্জন করে। সেজন্য পুরস্কার হিসেবে দলটিকে দেওয়া হয় দশ লাখ রুপি।
সরাসরি কৃষকদের মাঝে বিক্রির পাশাপাশি উদ্যোক্তার মাধ্যমে মেশিনটি বিক্রির কথা জানিয়েছেন পান্ডে। আর মেশিনটি তৈরিতে খরচ পড়বে ৫-৬ লাখ রুপি।
সঠিকভাবে প্রক্রিয়াকরণের অভাবে প্রতিবছর ভারতে উৎপাদিত পণ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ নষ্ট হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৪