ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘গুরুত্বপূর্ণ সেবার ৯০ শতাংশ প্রযুক্তির মাধ্যমে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
‘গুরুত্বপূর্ণ সেবার ৯০ শতাংশ প্রযুক্তির মাধ্যমে হবে’ ছবি: মিথুন- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ২০২১ সালের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সেবাসমূহের ৯০ শতাংশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৬-এর প্রথম দিনে মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।

কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

২০২১ সালকে টার্গেট করে নেওয়া বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ নাগরিককে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে। তথ্য-প্রযুক্তি সেক্টরে ২০ লাখ কর্মসংস্থান এবং তথ্য প্রযুক্তি শিল্প থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি করা হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চারটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল সরকার, নাগরিক সংযুক্ত করা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, আইটি শিল্প বিকাশ।

২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে জয় বলেন, দারিদ্রের হার ছিল ৪০ শতাংশ, এটি কমে এখন ২৩ শতাংশ। স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৯ শতাংশ, যা এখন ৭১ শতাংশ, বিদ্যুৎ সেবা পেত ২৭ শতাংশ এখন পায় ৭৫ শতাংশ, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দশমিক ৪ শতাংশ এখন তা ৪০ শতাংশ, মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল ২০ লাখ এখন তা হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি, সামজিক যোগাযোগ ব্যবহারকারী ছিল সামান্য- এখন ২০ লাখের বেশি, ই-সার্ভিস হাতে গোনা কয়েকটি ছিল এখন ২০০-এর বেশি সেবা পায় মানুষ।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে ট্রেডিশনাল পদ্ধতির পরিবর্তে ই-ইনিশিয়েটিভ চালুর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এখন ৩০ লাখ গ্রাহক মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যাকিং সেবা নিচ্ছে, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ১ কোটি ফলাফল এসএমএস প্রদান, ৫০ হাজার ই-টেন্ডার, লক্ষ্য স্মার্টকার্ড বিতরণ চলছে।

তথ্য প্রযুক্তি বিকাশে সহায়ক অবকাঠামো উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে জয় বলেন, উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সব সরকারি অফিসে অপটিক ফাইবার নেটওর্য়াক স্থাপন, ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার, কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক, জনতা টাওয়ার, যশোর টেক পার্কসহ আরও ১২টির বেশি আইটি পার্ক সারাদেশে ডেভেলপ করা হচ্ছে।

তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, দেশে ১ হাজারের বেশি তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক কোম্পানি রয়েছে, ৩ লাখের মতো আইটি মানব সম্পদ, ৫০ হাজার সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন।
এদিকে, আইটি খাতে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনা সুবিধার কথা ‍তুলে ধরেন জয়।

সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, সরকার সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাজেট বাড়ানোর দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের সুযোগ করে দেবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেপালের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী সুরেন্দ্র কুমার, ভুটানের তথ্য যোগাযোগ মন্ত্রী লিওনপো ডিএন, সুরিনামের পরিবহন, যোগাযোগ ও পর্যটন মন্ত্রী আন্দোজো রুসল্যান্ড, বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
এমইউএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।