রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই কর্মশালায় দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকরা উপস্থিত থেকে উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম ও ডিজিটাল এন্টারপ্রেওনারশীপ উন্নয়নে আলোচনা করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
কানেক্টিং স্টার্টআপ বাংলাদেশ, ১০০০ ইনোভেশন, জাতীয় পর্যায়ে অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রোগ্রাম, বাড়ি বসে বড়লোকসহ বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই খাতের চাহিদায় আগামীতে এ ধরণের প্রকল্পের ধারাবাহিকতা থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনের পরিবেশ গড়ে তোলায় সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন এবং বিশ্বব্যাংককে এ বিষয়ে যথাযথ পরামর্শ ও সুপারিশ পেশ করার অনুরোধ জানান।
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেসিসের পরিচালক রিয়াদ এস এ হোসেন। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ডিজিটাল এন্টারপ্রেওনারশীপ প্রোগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টনি ইলিয়াজ ও ব্রেট ডিকস্ট্রেইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সুশান্ত কুমার সাহা প্রমুখ এতে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত প্রায় এক বছর ধরে বিশ্বব্যাংক সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বেসিসের সহযোগিতায় বাংলাদেশের ডিজিটাল এন্টারপ্রেওনারশীপ ও ইনোভেশন ইকোসিস্টেম বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশের কাজ করছে। ইতিমধ্যে একটি খসড়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। রিপোর্টটিতে বিভিন্ন সম্ভাবনা ও করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরতেই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
এসজেডএম