ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে এশিয়ার তরুণদের সচেতনতা বাড়ছে 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭
সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে এশিয়ার তরুণদের সচেতনতা বাড়ছে  সাইবার বুলিং

ঢাকা: সাইবার বুলিং ও এর ঝুঁকি উদ্বেগজনক হলেও এশিয়ায় এর বিরুদ্ধে সচেতন তরুণদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস ২০১৭’ সামনে রেখে সাইবার বুলিং নিয়ে পরিচালিত এক অনলাইন জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ডিজিটাল বুলিংয়ের ধরন, তরুণ প্রজন্মের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব এবং তরুণরা কীভাবে ডিজিটাল বুলিং মোকাবিলা করছে- এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে জরিপটি প্রকাশ করেছে টেলিনর গ্রুপ।

বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও এশিয়ার অন্য দেশের ৩২০ জন প্রাপ্তবয়স্ক অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ফেসবুকে জরিপটি পরিচালিত হয়।

 

জরিপে অংশগ্রহণকারীরা জানান, তারা তরুণদের সঙ্গে সাইবার বুলিং নিয়ে আলোচনা করেন। ক্রমেই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠছে বলে তারা মনে করেন।  

এ ব্যাপারে টেলিনর গ্রুপের সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ডিরেক্টর জয়নাব হুসাইন সিদ্দিকী বলেন, ডিজিটাল বুলিংয়ের বর্তমান অবস্থা, বিস্তার ও এশিয়ার শিশুদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব জানতে জরিপটি করা হয়েছে। এছাড়া শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়েই এ ব্যাপারে কি করতে পারে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পেতেও এ জরিপ।  

তিনি আরও বলেন, এশিয়াজুড়েই আমরা সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ার চেষ্টা লক্ষ্য করেছি। অনেকেই এ ব্যাপারে শিশু, বাবা-মা ও বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কাছে যাচ্ছেন। আমরা আশা করি এটা অনলাইনে দুর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।  

কীভাবে এবং কোন চ্যানেলের মাধ্যমে অনলাইনে অশোভন কার্যক্রম ঘটতে পারে, কীভাবে এটা সংঘটিত হয় এবং কীভাবে এর বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে হয়- এসব বিষয়ে শিশুদের বোঝাতে হবে।  

এ জরিপের ইতিবাচক দিক হচ্ছে, উত্তরদাতাদের বেশিরভাগ (৪৬ শতাংশ) ইন্টারনেট ও অনলাইনে আচরণ নিয়ে তাদের সন্তানদের সঙ্গে কথা বলেন।

জরিপে অংশগ্রহণকারী ২২.৫ শতাংশ মানুষের সন্তানদের বেশিরভাগই সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছে বলে জানা যায়। তবে উত্তরদাতাদের আরেকটি বড় অংশ জানিয়েছেন, সাইবার বুলিং নিয়ে তাদের সন্তানদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ফলে শিশুরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়নি।

যাদের সন্তানেরা অনলাইনে গেমস খেলে তাদের সাইবার বুলিংয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনলাইনে যারা সাধারণ ব্রাউজিং করে তাদের চেয়ে বেশি। জরিপে ৭৯ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের সন্তান ও পরিচিত শিশুরা ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইন গেমস খেলার সময় শারীরিকভাবে আক্রান্ত হওয়ার হুমকির শিকার হয়েছে। শিশুরা হ্যাকিং এবং এনএসএফডব্লিউ (নট সেফ ফর ওয়ার্ক) ছবি বা ভিডিও শেয়ারিংয়ের মতো ঘটনার শিকার হয়েছে।  
এসব প্রতিরোধে শিশুদের জন্য কোন ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিরাপদ সেটি জানানো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন উত্তরদাতারা। তারা মনে করেন, ঝুঁকিপূর্ণ অনলাইন আচরণ প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার শিক্ষা।  

ডিজিটাল বুলিংয়ের ক্ষেত্রে করণীয় নিয়ে ‘বি স্মার্ট ইউজ হার্ট’ শীর্ষক বৈশ্বিক কর্মসূচি নিয়েছে টেলিনর। শিশুদের সঙ্গে ইন্টারনেট নিয়ে বাবা-মায়েরা কীভাবে কথা বলবেন এ নিয়ে টেলিনর গ্রুপ একটি গাইড বইও প্রকাশ করেছে। গাইড বইটি ভিজিট করা যাবে এই ঠিকানায়: https://www.telenor.com/wp-content/uploads/2015/11/SAFE-BOOK-INTL-TG_safe_internet_book_NOv_2015_Group_webres.pdf

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭

আরআর/এএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।