ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ভোলায় সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্কের উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
ভোলায় সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্কের উদ্বোধন ভোলায় সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্কের উদ্বোধন

লালমোহন, ভোলা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রুখতেও ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন। যাতে সন্ত্রাস মাথা চাড়া দিয়ে না উঠতে না পারে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে খালেদা জিয়ার কষ্ট হয়। তাই তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কথা বলছেন।

খালেদার বিরুদ্ধে তাই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশকে মধ্যআয়ের দেশ ও উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকালে ভোলার লালমোহনে ‘সজীব ওয়াজেদ জয়’ ডিজিটাল পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্ততা করছিলেন।


 
তিনি বলেন, সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন প্রশংসিত। শেখ হাসিনা-ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বরং এক উজ্জ্বল বাস্তব। মন্ত্রী এসময় প্রত্যেক উপজেলায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে ডিজিটাল কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানান।
 
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ধ্বংসস্তূপ থেকে বাংলাদেশকে টেনে তুলেছিলেন। অথচ ঘাতকরা তাকে হত্যা করে। কিন্তু তারা জানতো না, মুজিবকে হত্যা করলেও মুজিবের আদর্শকে তারা হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ আজ অনেক নিরাপদ।

বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৯৩ দিন হরতাল-অবরোধের নামে তারা দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করার চেষ্টা করেছিল। অবশ্য তাতে তারা সফল হয়নি। তারা বলেছিল, শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা এখন ক্ষমতায় আছেন। বরং খালেদাই আত্মসমর্পণ করেছেন।

বিএনপি নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যত কথাই বলুক না কেন ২০১৯ সালের নির্বাচনে তারা ঠিকই আসবে। নির্বাচন কারো জন্য থেমে থাকবে না। বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে এবং তা পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।
ভোলায় সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্কের উদ্বোধন
২০০১ সালে বিএনপির অন্যায় ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কর্মীদের নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। সেই নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি শেফালী, রিনা ও উজ্জ্বলার মত অসহায় নারীরাও। মেজর হাফিজের লোকরা মিলাদের অনুষ্ঠান পন্ড করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনি। কাউকে আঘাত করিনি। বিএনপি ক্ষমতায় এসে কোনো উন্নয়ন করেনি। কিন্তু এ সরকারের আমলে লালমোহনে নদীভাঙ্গন রোধে সাড়ে ৪ শত কোটি টাকার বরাদ্দ হয়েছে।
 
লালমোহনের ডিজিটাল পার্কের মাধ্যমে তরুণ প্রজম্ম উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি আউট সোর্সিং-এর মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করতে পারবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সারাদেশে এখন ডিজিটালের ছোঁয়া। এর প্রমাণ এ জনসভার মাধ্যমে সারাদেশ দেখছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভোলা-৩ আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের চিফ হুইফ আসম ফিরোজ, তথ্য ও যেগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ হাবিবে মিল্লাত, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ নাইমুর রহমান দুর্জয়, ভোলা-২ আসনের সাংসদ আলী আজম মুকুল, শরীয়তপুর-৩ আসনের সাংসদ নাইম রাজ্জাক, নাটোর-২ আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল, ঢাকার সংরক্ষিত আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, চট্রগ্রাম-৩ আসনের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা, টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাংসদ সানোয়ার হোসেনসহ ১৭ জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ভোলার লালমোহনে এই আধুনিক প্রযুক্তিপার্ক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশে প্রথমবারের মত এ ধরনের পার্কের উদ্বোধন করা হলো।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।