বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, এ নীতিমালার আলোকে ডিজিটাল কমার্স সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সেল গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল কমার্সের পরিধি ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
‘দেশে শিল্প বিকাশ, রপ্তানি উন্নয়ন, আইসিটিসহ সংশ্লিষ্ট খাতে অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এই নীতিমালা করা হচ্ছে। ’
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজিটাল লেনদেন সহজ ও নিরাপদ করার বিষয়টি নীতিমালায় বর্ণনা করা হয়েছে। পাইরেসি, হ্যাকিংসহ ডিজিটাল কমার্স খাত সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধের ব্যবস্থাও করা হবে।
‘ডিজিটাল কমার্সে অংশগ্রহণকারী ক্রেতা-বিক্রেতার ভয়ভীতি দূর করে এ খাতে তাদের আস্থা অর্জনের জন্য প্রচার-প্রচারণার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’
বেসিসের অভিনন্দন
এদিকে ডিজিটাল কর্মাস নীতিমালা পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে অভিনন্দন জানিয়েছে বেসিস।
বিবৃতিতে বেসিস বলছে, ই-কমার্স খাতের বাজার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এ নীতিমালার গুরুত্ব অপরিসীম। ডিজিটাল কর্মাস নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য ডিজিটাল কমার্স ব্যবসা পরিচালনার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা। এছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতার স্বার্থ সংরক্ষণে নীতিগত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি এ নীতিমালার অন্যতম উদ্দ্যেশ্য।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা আমাদের অগ্রসরমান ই-কমার্স খাতকে সুসংহত করবে। বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ই-কমার্স অনেক এগিয়ে গেছে। অনেক বৈশ্বিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উপমহাদেশের ব্যবসা পরিচালনা শুরু করেছে। নীতিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন হলে আমাদের স্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
এমআইএইচ/এএইচ/এমএ