ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শিক্ষাব্যবস্থায় ই-কনটেন্টর গুরুত্ব

শেরিফ আলা সায়ার, ই-এশিয়া থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১১
শিক্ষাব্যবস্থায় ই-কনটেন্টর গুরুত্ব

আধুনিকতার এ সময়ে শিক্ষকের কাজটা প্রযুক্তি দিয়েই করানো সম্ভব। তবে এটা হওয়া উচিত না।

শিক্ষকের জায়গায় ইন্টারনেট কিংবা কোনো প্রযুক্তি সম্পূরক নয়। শিক্ষকের প্রয়োজন কেবল একজন শিক্ষকই মেটাতে পারেন।

ই-এশিয়ার ‘লোকালাইজড কনটেন্ট ফর ডিজিটাল লার্নিং’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথাগুলো বলেন মালয়শিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সেন্টস থেকে আসা অধ্যাপক রোজান মুহম্মদ ইদরুস।

অধ্যাপক রোজান মুহম্মদ ইদরুস ইন্টারনেট সম্পর্কে বলেন, এখন সবাই ইন্টারনেট ছাড়া ডিজিটাল কনটেন্ট বিষয়ে কল্পনাও করতে পারিনা। অথচ এ মুহূর্তে বাংলাদেশে কজন মানুষের ইন্টারনেট সুবিধা আছে।

অধ্যাপক ইদরুস ডিজিটাল সিডি তৈরির প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, মাইক্রো লেভেলে উন্নতমানের কনটেন্ট দিয়ে সিডি তৈরি করতে পারে। কিংবা সফটওয়্যার তৈরি করা যায়না।

এ সফটওয়্যারগুলো সিডিতে থাকলেও হবে ব্যবহারের সময় এটি একটি ওয়েবসাইটের মতই দেখাবে। সিডিগুলো যদি গ্রামের স্কুল কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া যায় তাহলে শিক্ষকরা এ সিডিগুলোর সহায়তা নিয়ে পড়াতে পারবেন। এ জন্য জরুরি শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনের কার্নিভাল২ হলে শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটায় এ সেমিনার শুরু হয়। সব মিলিয়ে চারজন বক্তা নিজস্ব অঞ্চলের ভাষায় ই-কনটেন্ট বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।

এ সেমিনারটির মডারেটর জেভিয়ার সোলা বলেন, প্রযুক্তি যতই এগিয়ে যাক তাতে লাভ নেই। যদি ভাষাগত বিষয়ে কোনো সমাধানে তা কাজে না লাগে। প্রতিটি দেশের ভাষাগত দিকটি বিবেচনায় নিয়ে ই-কনটেন্ট তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময় ১৪৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।