ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘অফিসগুলোতে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে ডাটা অ্যানালিটিকস’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৯
‘অফিসগুলোতে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে ডাটা অ্যানালিটিকস’ গোলটেবিল বৈঠকে আইটি বিশেষজ্ঞরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশের অফিসগুলোতে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে ডাটা অ্যানালিটিকস বা তথ্য বিশ্লেষণী প্রযুক্তি। ডাটা, শক্তিশালী ম্যাট্রিক্স এবং অ্যানালিটিক্যাল টুলস ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে ইনসাইট তৈরি করা, কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং ব্যবসার পরিধি বাড়ানো সম্ভব। এমনটাই মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে মাইক্রোসফট এবং দেশীয় আইটি প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এমনই মতামত দেন তথ্য ও প্রযুক্তি (আইটি) বিশেষজ্ঞরা।

‘ডিজিটাল ফার্স্ট-মডার্ন ওয়ার্কপ্লেস: এনগেজড কাস্টমার, এম্পাওয়ার্ড এমপ্লয়িজ অ্যান্ড অপটিমাইজড অপারেশন’ শীর্ষক এই বৈঠকের সঞ্চালনায় ছিলেন ইজেনারেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহসান।

 

এতে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশ-ভুটান, নেপাল ও লাওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফিফ মোহম্মদ আলী, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মহা-পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সেলিম আহমেদ খান, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) জিয়াউল করিমসহ বিভিন্নখাতের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধানরা।

বৈঠকে মাইক্রোসফট প্রধান আফিফ মোহাম্মদ আলী বলেন, সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে গ্লোবাল পর্যায়ে প্রায় দু’হাজার সিইওদের ৬৬ শতাংশই দ্রুত বর্ধমান নতুন প্রযুক্তির জন্য তাদের কর্পোরেট কৌশলে ডিজিটাল রূপান্তর বাস্তবায়ন করছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা, ২০২০ সালের মধ্যে ডিজিটাল ডাটার পরিমাণ হবে ৪৪ জেটাবাইটস যা ’১৩ সালের তুলনায় ১০ গুণ বেশি। তবে, এই অবস্থায় আমাদের সবার ভাবনার মূল জায়গা হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তা। এজন্য মাইক্রোসফট প্রতিবছর প্রায় এক বিলিয়ন ডলার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে ব্যয় করে। বিশ্বের প্রায় আড়াই হাজার সাইবার নিরাপত্তা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে। বাংলাদেশের অফিস কালচারে ও ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব। এজন্য মাইক্রোসফট ইজেনারেশনের মাধ্যমে এখানকার গ্রাহকদের জন্য প্রযুক্তিগত সব ধরনের সহায়তা করবে।

ইজেনারেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, সব ডিজিটাল ইকোনমিতে ডাটাকে নতুন চালিকাশক্তি হিসেবে ধরা হয়। আগামীতে বাংলাদেশের পাবলিক-প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনার জন্য ডাটাকে ইনসাইট হিসেবে প্রস্তুত করা আবশ্যক হয়ে পড়বে।

প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিদিনের কার্যক্রমে বিশাল পরিমাণ ডাটা তৈরি হয় যা উৎপাদনশীলতায় প্রভাব, জনবলের কার্যকারিতা এবং কর্মীদের সম্পৃক্ততায় ব্যবহার করা যাবে। বিশ্বব্যাপী যেসব প্রতিষ্ঠান এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে তারা অধিক লাভের জন্য সেটি বাস্তবায়ন করেছে। এখন সময় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ডাটার যথাযথ ব্যবহার করা এবং ইনসাইটের মাধ্যমে তাদের টিমের কাজের ধরনে নতুন করার।

বৈঠকে উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা অফিস কালচারের রূপান্তরে ব্লকচেইন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ডাটা সাইন্স, ইন্টারনেট অব থিংস এবং ডাটা ক্লাউডের ওপর গুরুত্ব দেন। বিশেষ করে নিরাপদ ক্লাউড এ তথ্য সংরক্ষণ ও বিনিময়ের মাধ্যমে প্রতিদিনকার কাজে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও গতিশীলতা আনার সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোকপাত করেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয়ে নিজেদের উপস্থাপনা প্রদান করেন তারা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অফিসগুলোতে ডিজিটালাইজেশনের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধান তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
এসএইচএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।