ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

ফাইভ-জি প্রবর্তন কমিটির সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধির সভা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৯
ফাইভ-জি প্রবর্তন কমিটির সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধির সভা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ অন্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবে শরীক হতে না পারায় শিল্পোন্নত বিশ্বের সঙ্গে আমাদের বিশাল ব্যবধান তৈরি হয়েছে জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শতশত বছরের সৃষ্ট এ ব্যবধান দূর করতে ফাইভ-জি প্রযুক্তি হবে একটি বড় সহায়ক শক্তি।

মন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে বিটিআরসি আয়োজিত ফাইভ-জি প্রবর্তনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধির মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট রাজেন্দ্র সিংহ ফাইভ জি বিষয়ক গবেষণালব্ধ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন।

ফাইভ-জি প্রযুক্তি একটি নতুন সভ্যতার বাহন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই প্রযুক্তি কেবল মোবাইলে কথা বলা কিংবা ইন্টারনেট বা ফেসবুক ব্রাউজ করার প্রযুক্তি নয়। এই প্রযুক্তি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের মহাসড়ক। ফাইভ -জি প্রযুক্তি চালুর প্রস্তুতি বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, শিল্প, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি এবং মৎস্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে রোবটিক, আইওটি, এআই, ব্লকচেইন কিংবা বিগডাটার প্রয়োগের মাধ্যমে চমকে দেওয়ার প্রযুক্তি হচ্ছে ফাইভ-জি। এটির প্রয়োগ আর্থসামাজিক ও জনসম্পদের বিবেচনায় পৃথিবীর নানা দেশে বিভিন্নভাবে হতে পারে।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ড্রাইভারবিহীন গাড়ি জাপানের জন্য আনন্দের কিন্তু আমাদের লাখ লাখ ড্রাইভার বেকার হওয়ার বিষয়টি হবে অমানবিক। তেমনি রোবটিক প্রযুক্তির বিকাশে শ্রমিকবিহীন গার্মেন্টসশিল্প আমাদের কাম্য হতে পারে না। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বিবেচনায় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনে ফাইভ-জি’র প্রয়োগিক দিকটি নিশ্চিত করা হবে।

২০১৮ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তির পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ’২৩ সালের মধ্যে প্রযুক্তির অভাবনীয় ভার্সন ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি রাজেন্দ্র সিংহ বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনসাধারণের মধ্যে সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়া, দারিদ্র্য বিমোচনসহ ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি শহর এবং গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষ্যম্য কমিয়ে আনতে ব্যান্ডউইথ সম্প্রসারণ করা একটি খুবই কার্যকর একটি উপায়।

তিনি বলেন, ফাইভ-জি কেবল একটি প্রযুক্তি নয়। এটি একটি উন্নয়নের সহায়ক পরিবেশ। বাংলাদেশের ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে প্রয়োজনে বিশ্বব্যাংক কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

সভায় খসড়া ফাইভ-জি নীতিমালা এবং গাইড লাইন প্রণয়ন, নেটওয়ার্ক ও তরঙ্গ ব্যবস্থাপনাসহ পথ নকশা তুলে ধরা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ফাইভ-জি প্রবর্তনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সদস্যরা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ সময় ০২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।