ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

‘দেশের ৫৫ শতাংশ মানুষ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা নিচ্ছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
‘দেশের ৫৫ শতাংশ মানুষ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা নিচ্ছে’

ঢাকা: ব্যাংকিং সেবার বাইরের জনগণকে এ সংক্রান্ত সেবা দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের মতো দেশগুলোর অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে এমন সেবাখাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের প্রায় ৫৫ শতাংশ জনগণ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা নিচ্ছে। 

ইন্ডিয়া ফিনটেক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন পেগাসাস ভেঞ্চারের জেনারেল পার্টনার এবং ই- জেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান।  

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের দি ললিত হোটেলে অনুষ্ঠিত এই ফোরামে বাংলাদেশ থেকে বক্তব্য রাখেন শামীম আহসান।

সেখানে ‘কীভাবে আন্তর্জাতিক স্টার্টআপ ভারতের ফিনটেক ইকোসিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে এবং ভারতের স্টার্টআপ কীভাবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যেতে পারে?’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন দেশের অন্যতম সফল এই উদ্যোক্তা।  

বাংলাদেশে বিকাশ, রকেট ও নগদ এবং ভারতে পেটিএম’র মতো প্রতিষ্ঠানের উদ্ধৃতি দিয়ে শামীম বলেন, এই কোম্পানিগুলো এখানকার অঞ্চলে অসাধারণ সফলতা অর্জন করেছে। এর কারণ তারা দশকের পর দশক ধরে চলমান সমস্যার সমাধান করে এমন একটি মোবাইল সেবা তৈরি করেছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আড়াই বিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম।  আর্থিক সেবায় প্রযুক্তির ব্যবহার নতুন নয়, তবে এসব কোম্পানি দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন আনতে পেরেছে।  

ইকোনমিক টাইমসের সম্পাদক অমল ডেথের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন- ইনভেস্ট ইন ডেনমার্কের কান্ট্রি ম্যানেজার (ভারত ও সিঙ্গাপুর) শঙ্কর সুবরামানিয়াম, কুডস এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পবিত্র ওয়ালভেকার এবং ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার (এনপিসিআই) পণ্য ও উদ্ভাবন বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিশাল কানভাটি।

শামীম আহসান প্রস্তাব করেন, বিমসটেক ও সার্কের মতো আঞ্চলিক সংগঠনগুলো আন্তর্জাতিকখাত বিশেষজ্ঞ এবং নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে নিয়ে ফিনটেক সল্যুশন যুক্তকরণের মাধ্যমে ক্রস-বর্ডার পেমেন্টস ও ই-কমার্সকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এর ফলে এই অঞ্চলে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি আরও বৃদ্ধি পাবে।  
 
শামীম আহসান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন মতে আগামী ৫ বছরের মধ্যে ফান্ড ট্রান্সফার এবং পেমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ফিনটেকের কাছে তাদের ২৮ শতাংশ বাজার হারাবে, আর ব্যাংকগুলো বাজার হারাবে প্রায় ২৪ শতাংশ। গত ৩ মাসে ভারতের ফিনটেক কোম্পানিতে ৬৭৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে, যেখানে একই সময়ে পুরো এশিয়ার প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ হয়েছে ১.৮ বিলিয়ন ডলার।

ইন্ডিয়া ফিনটেক ফোরামে সাড়ে চার শতাধিক কোম্পানি ও পাঁচ হাজারের বেশি ব্যক্তি সদস্য হিসাবে যুক্ত রয়েছেন। ফিনটেক ইকোসিস্টেম তৈরিতে ওতপ্রোতভাবে কাজ করছেন সদস্যরা। ফিনটেক কোম্পানিতে সেরা উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি দিতে ভারতে অন্যতম সেরা অনুষ্ঠান হিসাবে আয়োজিত হয় ইন্ডিয়ান ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড। চতুর্থবারের মতো আয়োজিত এবারের ফিনটেক অ্যাওয়ার্ডের আয়োজক ইন্ডিয়া ফিনটেক ফোরামের সহযোগী হিসাবে ছিলো মহারাষ্ট্র সরকার, ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কোপেনহেগেন ফিনটেক, প্যারিস ফিনটেকসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি অংশীদাররা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।