তিন দিনব্যাপী এই মেলায় আগত দর্শনার্থীরা হুয়াওয়ের প্যাভিলিয়নে সরাসরি ফাইভ-জি স্পিড ও লো- ল্যাটেন্সি অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে হুয়াওয়ে।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ১৬ জানুয়ারি এই মেলার উদ্বোধন করবেন।
এ বছর মেলার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক’। ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক বিনির্মাণের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা এবং পরিবর্তীত বিশ্বে নতুন সভ্যতার রূপান্তরে আইওটি, রোবটিক্স, বিগডাটা, ব্লকচেইন প্রযুক্তির মহাসড়ক ফাইভ-জির বিস্ময়কর সম্ভাবনার বার্তা নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
হুয়াওয়ে জানায়, মেলায় আকর্ষণ হিসেবে আনা হয়েছে বিশেষ একটি রোবট। যাকে হাতের ইশারায় পরিচালনা করে খেলা যাবে ফুটবল। ফাইভ-জি প্রযুক্তিতে কত দ্রুত হিউম্যান টু মেশিন কিংবা মেশিন টু মেশিন কমিউনিকেশন সম্ভব তা তুলে ধরার লক্ষ্যে এ আয়োজন।
পাশাপাশি আরও একটি প্লে-জোন থাকবে এখানে, যেখানে সবাই ফাইভ-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে রিয়েল-টাইম ভি-আর উপভোগ করতে পারবেন। ফাইভ-জি ভি-আর পরার সঙ্গে সঙ্গেই অংশগ্রহণকারী নিজেকে খুঁজে পাবেন স্কিইরত অবস্থায়। উন্নত প্রযুক্তি এবং অডিও কিংবা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সরাসরি অভিজ্ঞতা দিতেই হুয়াওয়ের এই আয়োজন। থাকবে হুয়াওয়ের ফাইভ-জি স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ। কেনা যাবে বাজারে বর্তমান হুয়াওয়ের ফোনগুলোও।
২০১৮ সালের ২৫ জুলাই বাংলাদেশে ফাইভ-জি সেবা পরীক্ষায় মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিল হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। বিশ্বে শীর্ষ স্থানীয় ফাইভ-জি প্রযুক্তি ও সেবাদাতা হুয়াওয়ে ফাইভ-জির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণায় গত ১০ বছর ব্যয় করেছে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গত সপ্তাহের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৩৪টি দেশে বাণিজ্যিকভাবে ৬১টি অপারেটর ফাইভ-জি সার্ভিস চালু করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ অপারেটরকেই সেবা দিয়ে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। নভেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ফাইভ-জি পেটেন্ট রয়েছে হুয়াওয়ের কাছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ