করোনা পরিস্থিতিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির এ বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যদের জন্য ইভ্যালির পক্ষ থেকে এসব সুরক্ষা সামগ্রী উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) রাজধানীর মিন্টু রোডে সিটিটিসির প্রধান কার্যালয়ে এসব নিরাপত্তা সামগ্রী আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
ইভ্যালি ও সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, এসব নিরাপত্তা সামগ্রীর মধ্যে ২৫০টি পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), আড়াই হাজার ফেস্ক মাস্ক, ২৫০টি আই প্রটেকটিভ গ্লাস, ২৫০টি হ্যান্ড ওয়াশার এবং ৫০০টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার রয়েছে। এছাড়া সিটিটিসি কার্যালয়ের জন্য ৪টি হ্যান্ড থার্মোমিটারও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, করোনার এ দুর্যোগকালীন সময়ে চিকিৎসকদের পাশাপাশি সামনের সারিতে থেকে যারা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে তাদের মধ্যে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অন্যতম। সিটিটিসি ডিএমপির একটি বিশেষায়িত ইউনিট। তাদের পেশাদারিত্ব এবং নিরলস পরিশ্রমের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানাতে আমরা আমাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্য থেকে এসব স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী উপহার হিসেবে দিলাম। এ সময়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নিরাপদ রাখতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তারা নিরাপদ থাকলে আর আমরা সচেতন হলে আমরাও নিরাপদ থাকবো।
স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সামগ্রী দেওয়ার জন্য ইভ্যালির প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, করোনার এ সময়ে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাহসের সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আপনারা জানেন, করোনায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন, মৃতের ঘটনাও ঘটেছে। এরপরেও দেশের যেকোনো সঙ্কটকালীন সময়ের মতো এবারও আমরা পুলিশ সদস্যরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের নিরাপত্তায় কাজ করে আসছি। ইভ্যালির এমন আমাদের পাশে এসে দাঁড়ানোতে আমরা কৃতজ্ঞ। এতে করে আমরা আরও অনুপ্রাণিত হবো।
এসময় সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম এবং বাহন এক্সপ্রেসের চেয়ারম্যান কাজী নাসিম উদ্দিনসহ সিটিটিসির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২০
এসএইচএস/ওএইচ/