গ্রামীণফোন আদালতের নির্দেশনা মেনে মঙ্গলবার (১৯ মে) বিটিআরসির কাছে শেষ কিস্তির এক হাজার কোটি টাকার পে-অর্ডার জমা দেওয়ার সময় চেয়ারম্যান একথা বলেন।
আগামী ৩১ মে নির্ধারিত সময়ের আগেই টাকা দেওয়ায় গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, এই টাকাটা পাবলিক ডিমান্ড, আমাদের কিছু করার ছিল না।
‘করোনার ক্রান্তিলগ্নে গ্রামীণফোন যে এক হাজার কোটি টাকা জমা দিল এতে বাংলাদেশ সরকারের বিরাট উপকার হবে, করোনায় যারা আক্রান্ত তাদের সাহায্য করা যাবে। ’
এজন্য গ্রামীণফোনের সিইওকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। এই টাকা দিয়ে সরকার করোনা মুক্তির ব্যাপারে অনেক তৎপর হতে পারবে বলেও জানান।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, গ্রামীণফোনের ন্যায্য যে পাওনা বিটিআরসির কাছে আছে তা তারা সব সময় পেতে থাকবে। গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির যে পাওনা তা যেন পরিশোধ করে, এ প্রত্যাশা আমরা করি। বর্তমান সিইওর অধীনের বিটিআরসির সঙ্গে গ্রামীণফোনের ভালো সম্পর্ক বিরাজ করবে।
গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, আদালতের প্রতি সম্মান রেখেই আমরা টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেই।
এরআগে ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়।
করোনার এই দুর্যোগের সময় এই টাকা অনেক কাজে লাগবে- চেয়ারম্যানের কথা টেনে গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, আমরা আনন্দিত যে এই সময়ে এটার সঙ্গী হতে পেরেছি।
‘এসএমপির ব্যাপারে ভাইস-চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির কাজ চলমান এবং অনেকখানি এগিয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দ্রুত শেষ হবে বলে আশা করছি। ’
এক প্রশ্নে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা চাঁদাবাজ না আইনবাজ তা অপনারা দেখছেন। আদালতের নির্দেশে টাকা আদায় করছি। চাঁদাবাজি করলে আপিল বিভাগ নির্দেশ দিতো না। আমরা আইনসঙ্গতভাবে এই টাকার হকদার।
এ বিষয়ে সিইও আজমান বলেন, এটা নিয়ে আমার কোনো সময় দ্বিমত ছিল না। আমাদের স্টেটমেন্টে এই কথা (চাঁদাবাজ) ছিল না।
গ্রামীণফোনের কাছে অডিট আপত্তির বাকি পাওনা আদায় আগামী দিনে কীভাবে সমাধান হবে- জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, আমরা উভয়পক্ষ বসে হিসাব করে দেখবো, যা হয় তা মানবো। আমরা অর্থ বিভাগের সঙ্গেও বসবো। যদি কোনো হিসাবের গণ্ডগোল থাকে, সঠিক তথ্য যদি কেউ দেয় আমরা সেটা মেনে নেবো।
তবে রি-অডিটের কোনো প্রশ্ন আর আসতে পারে না বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
বিভিন্ন সেবা দেওয়া নিয়ে গ্রামীণফোন সিইও বলেন, এই মুহূর্তে কাস্টমারদের জন্য সেবা নিয়ে আসার অনুরোধ ছিল। এটা সবার প্রশংসার দাবিদার, আমাদের ফলো করে বাকিরাও অফার নিয়ে এসেছেন। আমাদের আরো করা উচিত, বাকিদেরও করা উচিত। আমাদের একেজনের প্রশংসা করা উচিত। এটা খুবই লিমিটেড সময়ের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।
এই মুহূর্তে সমালোচনা না করে মহামারির সময়ে সবার জন্য কাজ করা উচিত জানিয়ে গ্রামীণফোন সিইও বলেন, এটা প্রতিযোগিতায় ক্ষতি করবে না। সবারই এসব কাজ করা উচিত।
বাকি অপারেটরদের অডিট নিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, অর্থ বিভাগ চেষ্টা করছে। অডিট প্রক্রিয়াধীন। আমরা চেষ্টা করছি ক্রমান্বয়ে সব অডিট হয়ে যাবে। এয়ারটেলে শুরু হয়ে গেছে, বাকিগুলোও হবে।
এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মিত্র বলেন, ইতোমধ্যে দু’টি অপারেটরের অডিট কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
এমআইএইচ/এএ