কোভিড-১৯ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত সেবা কেন্দ্রটিতে দায়িত্ব পালনরত সদস্যদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এসব সামগ্রী দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাজধানীতে ৯৯৯ এর প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৯০ প্যাকেট স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
ইভ্যালির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আতিকুর রহমান ৯৯৯ এর অতিরিক্ত ডিআইজি তবারক উল্লাহয়ের কাছে নিরাপত্তা সামগ্রীগুলো হস্তান্তর করেন।
এসব নিরাপত্তা সামগ্রীর মধ্যে প্রতিটি প্যাকেটে আছে একটি করে পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), হ্যান্ড স্যানিটাইজার, আই প্রটেক্টিভ গ্লাস এবং তিনটি সার্জিক্যাল ফেস মাস্ক। এছাড়াও ৯৯৯ কার্যালয়ের জন্য তিনটি থার্মোমিটারও দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ইভ্যালির পরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, নিজেদের কার্যক্রম শুরুর সময় থেকেই ২৪ ঘণ্টা বছরের প্রতিটি দিন নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশের জনগণকে জরুরি সেবা দিয়ে আসছে ৯৯৯। দেশের অনেক নাগরিক নিজেদের জীবনের জরুরি মুহূর্তে এখান থেকে সেবা পেয়ে আসছেন। এই কোভিড-১৯ করোনা পরিস্থিতির মাঝেও এখানকার সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। সবশেষে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময়েও দেশের মানুষদের জরুরি সেবা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত ছিলো ৯৯৯। ইভ্যালির পক্ষ থেকে আমরা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এখানকার সদস্যদের জন্য কিছু ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিচ্ছি। তাদের নিরলস দায়িত্ব পালনের প্রতি আমাদের পক্ষ থেকে সম্মান এবং কৃতজ্ঞতা জানানোর এটি এক ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র ।
অন্যদিকে অতিরিক্ত ডিআইজি তবারক উল্লাহ মানবিক উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসায় ইভ্যালিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, করোনার মধ্যেও জরুরি সেবাকেন্দ্র ৯৯৯ কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের এই বিভাগের কয়েকজন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুরু থেকে সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে অল্পকিছু সরঞ্জাম পেয়েছিলাম। সত্যিকার অর্থে এই ধরনের মানবিক কাজে আপনারা এসেছেন আমি আমার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে, ৯৯৯ এর পক্ষ থেকে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই উদ্যোগ মানুষের কল্যাণে, দেশের কল্যাণে অবদান হিসেবে কাজ করবে বলে আমি আশা করি।
এ সময় বাহন এক্সপ্রেসের চেয়ারম্যান কাজী নাসিম উদ্দিনসহ ৯৯৯ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
এএটি