মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমটব মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসএম ফরহাদ একথা জানান।
গত ১১ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল আসন্ন বাজেটে মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন।
৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে মোবাইল ফোনের সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ১ শতাংশ সারচার্জ, ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং অন্য খরচ মিলে ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।
মোবাইল ফোন অপারেটররা বলছে, আগে ১০০ টাকা খরচ করলে সরকারকে ২১ টাকা ৫৭ পয়সা দিতে হতো। ৫ শতাংশ সম্পুরক শুল্ক বাড়ায় এখন তা হবে ২৪ টাকা ৯৫ পয়সা। এই বাড়তি খরচ ১১ জুন দিনগত মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এমটব মহাসচিব বলেন, আমরা বিটিআরসিকে চিঠির জবাব দিয়েছি। জবাব দিয়েছি যে মোবাইল অপারেটররা যে কাজটা (বাড়তি টাকা কাটা) করেছে সেটা দেশের আইনের ভেতরে থেকে কাজটি করেছে। তারা বেআইনি কোনো কিছুই করেনি।
‘অর্থাৎ ফিন্যান্স বিলের (অর্থবিল) মধ্যে যেটা উল্লেখ আছে, পৃষ্ঠা এবং দফা উল্লেখ করে দিয়েছি। আপনারা চাইলে সেটা চেক করতে পারেন। ফিন্যান্স বিলের ৮০ নম্বর দফার কথা বলা হয়েছে, সেটা ঠিক আছে। সেখানে ৮০ দফায় মোবাইল সেবার কথা বলা আছে। ’
ফরহাদ বলেন, বাড়তি শুল্ক নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। তারাও (টেলিযোগাযোগ বিভাগ) আমাদের মতো বলছে কেন শুল্ক বাড়লো।
সংবাদ সম্মেলনে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তৈমুর রহমান, গ্রামীণফোনের হেড অব পাবলিক অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
এমআইএইচ/এএ