ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘প্রচলিত শিল্প-বাণিজ্যের ডিজিটাল রূপান্তর শুরু হয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২০
‘প্রচলিত শিল্প-বাণিজ্যের ডিজিটাল রূপান্তর শুরু হয়েছে’ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: প্রচলিত পদ্ধতিতে বিদ্যমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে বসবাস করছি। এটা ছড়িয়ে দিতে হবে।

আমাদের বড় সম্পদের নাম হচ্ছে মানবসম্পদ। এই সম্পদ কাজে লাগাতে হবে। জ্ঞানভিত্তিক সাম্য সমাজ বিনির্মাণে বিদ্যমান সম্পদের আর্থিক মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও মেধাসম্পদকে প্রাধান্য দিতে প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

শনিবার (০৪ জুলাই) ঢাকায় বেসিস প্রণীত মানবসম্পদ হ্যান্ডবুকের প্রকাশনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের সঞ্চালনায় জুম কনফারেন্সিংয়ে বেসিস’র সাবেক সভাপতি এ তৌহিদ, হাবিবুল্লাহ এন করিম, রফিকুল ইসলাম রাউলি, মাহবুব জামান, শামীম আহসান এবং বেসিসের সাবেক পরিচালক শাহ ইমরুল কায়েস বক্তৃতা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, করোনায় গ্রামের প্রত্যন্তের স্কুলটিও ইন্টারনেটে অনলাইন ক্লাস প্রত্যাশা করছে। সময়ের প্রয়োজনে খাদ্যের মতই ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা সমান তালে চলছে। করোনাকালে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা অনিবার্য হয়ে উঠেছে।

ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজনীয়তা আগামী দিনে ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাবে উল্লেখ করে বেসিস প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ কেবলমাত্র সফটওয়্যার উৎপাদনই করছে না। আমাদের মেধাবি তরুণদের উদ্ভাবিত সফটওয়্যার বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশে আমরা যা উৎপাদন করতে পারি তা বিদেশ থেকে আমদানি করার প্রয়োজন হবে না উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা মোট চাহিদার শতকরা পঞ্চাশভাগ মোবাইল ফোন উৎপাদন করছি। করোনা পরিস্থিতি না থাকলে তা শতকরা সত্তর ভাগ উৎপাদন করা এতদিনে সম্ভব হতো। কম্পিউটার উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

বেসিস সদস্যদের জন্য হ্যান্ডবুকটিকে একটি অসাধারণ গাইড হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল দুনিয়ায় যারা কাজ করেন তারা অধিকাংশই বয়সে তরুণ এবং অতীত কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই তারা কাজ শুরু করেন। এই ধরনের প্রকাশনা তরুণদের জন্য ভালো একটি দিকদির্দেশনা প্রদান করবে, যা ডিজাটাল জগতে তাদের অধিকতর অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।

মন্ত্রী তরুণ উদ্ভাবকদের কপিরাইট আইন, পণ্যের পেটেন্ট সংরক্ষণ এবং ট্রেডমার্ক বিষয়ে অধিকতর সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০ 
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।