স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্প্রতি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক এই ‘স্মার্ট সিটি ফিচার’ চালু করা হলো।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সোমবার (১৩ জুলাই) ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিকি স্টেইন এ সময় যুক্ত ছিলেন।
এছাড়াও মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহতাব উদ্দিন আহমদ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ফাইবার অ্যাট হোম, সেবা (আইএসপি) ও অন্যান্য টেলিকম অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে দেশের নাগরিকদের নির্বিঘ্ন নেটওয়ার্ক সংযোগ ও আধুনিক নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বহুমুখী ‘স্মার্ট ল্যাম্প পোল’ স্থাপনের এটিই প্রথম সম্মিলিত প্রয়াস।
সমন্বিত এই সল্যুশনটি বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা, নিরাপত্তা নজরদারি (ঐচ্ছিক), আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্মার্ট বিন, রিয়েল টাইম এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং দেওয়া ছাড়াও কমিউনিটি মেসেজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ডিজিটাল সাইনেজ’ হিসাবে কাজ করবে, যা মূলত আধুনিক নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করবে।
অনুষ্ঠানে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকাকে ‘স্মার্ট সিটি’ হিসেবে গড়ে তুলতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রথমবারের মতো এ ধরনের স্মার্ট সিটি সল্যুশন গড়ে তোলার মাধ্যমে সামাজিক এবং বেসামরিক সেবার ক্ষেত্রে নগরবাসীকে একটি নতুন এবং উন্নত প্ল্যাটফর্ম দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
মেয়র বলেন, পরীক্ষামূলক এই উদ্যোগটি সফল হলে ২০২১ সালের মধ্যে ঢাকা উত্তরজুড়ে আরও প্রায় ২০০-২৫০টি জায়গায় আমরা এ ধরনের স্মার্ট সল্যুশন স্থাপন করবো। চমৎকার নেটওয়ার্ক সংযোগ সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি নাগরিক সুবিধার সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করায় এই উদ্যোগটির লক্ষ্য। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ক্ষেত্রে আমাদের এই উদ্যোগটি একটি আদর্শ উদাহরণ বলে আমি বিশ্বাস করি। এর ফলে টাওয়ার কোম্পানিটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের খালি বা অব্যবহৃত জায়গাতে টাওয়ার স্থাপন করে সেটি মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছে বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছে এবং এর বিনিময়ে তারা নগরবাসীর জন্য বিনামূল্যে ওয়াইফাই, আলো, এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট, সচেতনতামূলক বার্তা, স্মার্ট বিন-ইত্যাদি নানান সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিকি স্টেইন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের সবার জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ গড়ে তোলার লক্ষ্য বাস্তাবায়ন প্রক্রিয়ায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পেরে আমরা গর্বিত। বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে ইডটকো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর লক্ষ্য পূরণে আগামীতেও আমরা দেশবাসীর পাশে থাকতে চাই। সবার জন্য নির্বিঘ্ন, স্থিতিশীল এবং দ্রুততর সংযোগ নিশ্চিতকরণের দিকে মনোনিবেশের পাশাপাশি স্মার্ট সিটি সল্যুশনের মতো পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ৫-জির জন্য পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত করে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর।
বাংলাদেশে এখন নিজস্ব মালিকানায় ১০ হাজারেরও বেশি টেলিকম টাওয়ার পরিচালনা করছে ইডটকো বাংলাদেশ। টেকসই ও শেয়ারযোগ্য অবকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে সবার জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ধারাবাহিক বিনিয়োগের পাশাপাশি উদ্ভাবন প্রচেষ্টাও অব্যাহত রেখেছে কোম্পানিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
এমআইএইচ/এএটি