ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শুরু হলো রোবট অলিম্পিয়াড-২০২০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২০
শুরু হলো রোবট অলিম্পিয়াড-২০২০

ঢাকা: বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) উদ্যোগে টানা তৃতীয়বারের মতো শুরু হয়েছে রোবট অলিম্পিয়াড-২০২০।  বাংলাদেশ পর্বের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা অংশ নেবেন ২২তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াড-২০২০ এর মূল পর্বে।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এবারের আসরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান এবারের আসরের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এবারের আসরে জুনিয়র বিভাগে দেশের স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৬২টি জেলা থেকে ৭৩১ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন।

রোবট গ্যাদারিং, ক্রিয়েটিভ, রোবট ইন মুভি এবং রোবটিক্স ইন্টেলিজেন্স (কুইজ) এই চারটি ক্যাটেগরিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন অংশগ্রহণকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, রোবট এখন সাংবাদিকতার কাজও করছে। ‘জিপিটি-থ্রি’ নামক একটি রোবট কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রয়োগ করে কলাম লিখছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমাদের সমাজকে যেসব প্রযুক্তি পালটে দেবে তার মধ্যে রোবটিক্স অন্যতম। তাই এই বিষয়ে আমাদের আরও বেশি মনযোগী হতে হবে।

অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়া প্রতিযোগীদের ক্ষুদে গবেষক ও উদ্ভাবক উল্লেখ করে পলক বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর স্কুলগুলোতে রোবটিক্স ক্লাব করে শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে আগ্রহী করে তোলা হয়। এটা এমন একটি প্রযুক্তি। এর সঙ্গে আরও অন্যান্য প্রযুক্তি যেমন হার্ডওয়্যার, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, ডাটা এলানিটিক্স, মেশিন টু মেশিন রেসপন্স ইত্যাদি বিষয় জড়িত থাকে। এর জন্য আমরা দেশের ৩শটি নির্বাচনী আসনকে লক্ষ্য রেখে প্রতিটিতে একটি করে মোট ৩শটি ‘স্কুল অব ফিউচার’ প্রতিষ্ঠা করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব স্কুলে শিক্ষার্থীরা এসব প্রযুক্তি সম্পর্কে হাতে কলমে শিখতে পারবে। এর ফলে ১০ থেকে ১৫ বছর পরে তারা যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করবে তখন তারা এর থেকে উপকৃত হবেন।

অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ পর্বে সার্বিক সহযোগিতায় থাকছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক।  

সংগঠনটির সভাপতি ড. জাফর ইকবাল বলেন, রোবটিক্স এমন একটি বিষয় যেখানে শুধু প্রোগ্রামিং করলে হবে না; হাত দিয়ে রোবট বানাতে হবে। তাই এই বিষয়টি আমার কাছে খুবই মজার এবং সবাইকে আমি এতে উৎসাহ দেই। আমরা এমন একটি দেশ যারা আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে প্রথমবার অংশ নিয়েই স্বর্ণপদক জিতেছি। এরপরের বার অর্থাৎ দ্বিতীয়বারেও আমরা স্বর্ণ জিতেছি। আমাদের জন্য আরও আশার কথা যে, রোবটিক্স এ মেয়েরা এগিয়ে আসছে। দিন দিন মেয়ে প্রতিযোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের ছেলে-মেয়েরা একদিন দারুণ দারুণ রোবট নিজেরাই তৈরি করবে।

সভায় বিসিসির সভাপতি পার্থ প্রতিম দেব সভাপতিত্ব করেন।  

কোভিড-১৯ করোনা পরিস্থিতিতে এবারের আয়োজন অনলাইনেই অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াড ও অনলাইনেই আয়োজিত হবে। আগামী ৯ ও ১০ অক্টোবর প্রথম পর্ব এবং ১৬ ও ১৭ অক্টোবর দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের। আর ১৮ অক্টোবর সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবারের আসর।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২০
এসএইচএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।