ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিসিএসআইআরে তিনদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২১
বিসিএসআইআরে তিনদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

ঢাকা: বাংলাদেশ বিজ্ঞাপন ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) শুরু হলো তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন।  

ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-২০২১ শীর্ষক এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের শতাধিক বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষক অংশ নেবেন।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে অবস্থিত বিসিএসআইআর প্রাঙ্গণে আয়োজিত সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।  

এসময় চিফ প্যাট্রন হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, গেস্ট অব অনার হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বিশেষ অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ এফ এম রুহল হক উপস্থিত ছিলেন।  

এছাড়া সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আফতাব আলি শেখ এবং বিজ্ঞাপন ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আনোয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করার আগে নিজ বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ২০৪০ সালের মধ্যে যে জাতি উন্নত দেশ হতে চায়, তাকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশ হতেই হবে। আমার মনে হয়, সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং সম্ভাবনাময় বৈজ্ঞানিক সমাধান নিয়ে বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসতে হবে। বিজ্ঞান ও গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক, বিশেষ করে কৃষি গবেষণায়। আজ আমাদের দেশেই ৪৩ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে। আমরা এখন খাদ্যে স্বনির্ভর। আমাদের ব্যবস্থাপনা এবং গবেষণা কার্যক্রম এটিকে সম্ভবপর করেছে।  

এ সম্মেলনের সফলতা কামনা করে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এ ধরনের আয়োজন গ্রিন টেকনোলজি নিয়ে গবেষণা, দেশি-বিদেশি গবেষক-বিজ্ঞানীদের মধ্যে জ্ঞান বিনিময়ের ও গবেষণার নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হয়। আমাদের দেশে মেধাবী গবেষক-বিজ্ঞানী আছেন। তাদের গাইড করতে পারলে সমাজের জন্য তারা অনেক অবদান রাখতে পারবেন।  

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বনামধন্য বিজ্ঞানী কুদরাত-এ-খুদা র নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। এ কমিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চায় কাজ করে। বঙ্গবন্ধুর সেই কাজ এখন অব্যাহত রেখেছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, সঠিক সময়ে এমন একটি সম্মেলন হচ্ছে। বর্তমান সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতিমালা ২০১১ এর মাধ্যমে এ খাতটিকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে গেছে, যার মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারছি। এ আয়োজন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ বৃদ্ধি করে। এ আয়োজন থেকে অংশগ্রহণকারীরা উপকৃত হবেন বলে আমার বিশ্বাস।  

'ইনোভেশন ফর টুমোরো' স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে এ সম্মেলন। এতে কানাডা, জার্মানি, ভারত, সুইডেন, চীন, ইউএসএ, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী, গবেষক এতে অংশ নিচ্ছেন। প্রতিদিন ১২টি করে মোট ৩৬টি সেশন আয়োজিত হবে এবারের সম্মেলনে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২১
এস এইচ এস/এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।