ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

পুনঃব্যবহারের জন্য ই-বর্জ্য হস্তান্তর করলো সিম্ফনি মোবাইল

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
পুনঃব্যবহারের জন্য ই-বর্জ্য হস্তান্তর করলো সিম্ফনি মোবাইল

ঢাকা: বাংলাদেশে দেশীয় মালিকানায় প্রথম হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড সিম্ফনি মোবাইলের হাত ধরে উদ্ভাবন হয়েছে অনেক নতুন নতুন পদক্ষেপের। ঠিক তেমনি সবার জন্য আরও একটি মাইলফলক তৈরি করলো সিম্ফনি।

সিম্ফনির হাত ধরেই শুরু হলো ই-বর্জ্য পুনঃব্যবহার প্রকল্প।

গত নভেম্বরে সিম্ফনি মোবাইলের সঙ্গে ই-বর্জ্য পুনঃব্যবহারের জন্য চুক্তি হয় জেআর রিসাইক্লিং সল্যুশন লিমিটেডের।

এ চুক্তির আওতায় আজ জেআর রিসাইক্লিং সল্যুশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম এ হোসাইন জুয়েলের হাতে প্রায় দুই হাজার কেজি ই-বর্জ্য তুলে দেন সিম্ফনি মোবাইলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাকারিয়া শাহিদ। এ সময় বিটিআরসির পক্ষ থেকে সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর (স্পেক্ট্রাম) মোহাম্মদ জাকারিয়া ভূঁইয়া ও ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর (স্পেক্ট্রাম) রেজাউল সাবিরসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ই-বর্জ্য হস্তান্তরের সময় এম এ হোসাইন জুয়েল বলেন, বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ব্র্যান্ড হিসেবে সিম্ফনি মোবাইলই সবার আগে ই-বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের কাজে হাত দিয়েছে।  

তিনি বলেন, অনেক কোম্পানিই ইতোমধ্যে জে আর রিসাইক্লিং লিমিটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিন্তু সিম্ফনিই সবার আগে এগিয়ে এসেছে ই-বর্জ্য সঠিকভাবে রিসাইক্লিং করার জন্য।  

মুহাম্মদ জাকারিয়া ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান পৃথিবীতে ই-বর্জ্য একটি অন্যতম প্রধান সমস্যার নাম। যার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। কেবলমাত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সৃষ্ট ই-বর্জ্যই নয় বরং সব ধরনের ই-বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আন্তরিক অনুরোধ জানান। এরপর তিনি সিম্ফনি ও জেআর রিসাইক্লিং সলিউশন লিমিটেডকে সমন্বিতভাবে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।  

তিনি বলেন, টেলিকম ইক্যুইপমেন্টের মাধ্যমে সৃষ্ট ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দেশের টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিটিআরসি থেকে যথাযথ নিয়ম মেনে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে।  

মুহাম্মদ জাকারিয়া ভূঁইয়া বলেন, পরিবেশ বাঁচাতে হলে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি এর পুনর্ব্যবহার অর্থাৎ রিসাইক্লিংয়ের বিকল্প নেই।

জাকারিয়া শাহিদ বলেন, সিম্ফনি বাংলাদেশে অনেক নতুন পদক্ষেপের উদ্যোগ নিয়েছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় সিম্ফনি জন্ম দিলো নতুন মাইলফলকের। এ সময় তিনি বিটিআরসি ও বাংলাদেশ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  

তিনি বলেন, সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির অংশ হিসেবে এখন থেকে সিম্ফনি মোবাইল তাদের সব ডিলার ও রিটেইল পয়েন্টে পুরনো ফোন যেগুলো এখন আর কেউ ব্যবহার করেন না সেসব ফোন জমা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করবেন এবং সিম্ফনি মোবাইলে যারা কর্মরত তাদের কাছ থেকেও নষ্ট হয়ে যাওয়া ফোন জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রতি ছয় মাস পরপর এ ই-বর্জ্যগুলো জে আর রিসাক্লিংয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।