গত ১১ সেপ্টেম্বর ছিল বিসিএস কমপিউটার সিটির ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিবস। কিন্তু গত ১১ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হওয়ায় দিবসটিকে ১৭ সেপ্টেম্বর পালন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বিসিএস কমপিউটার সিটির কার্যনির্বাহী পরিষদ।
১৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিসিএস কমপিউটার সিটির দু’সপ্তাহব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিয়ার রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আফতাব উল ইসলাম এবং বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির সভাপতি মোস্তাফা জব্বার।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার আগারগাঁওস্থ বিসিএস কমপিউটার সিটিতে দু’সপ্তাহব্যাপী থাকছে নানা আয়োজন। এরই মধ্যে সিটির প্রাঙ্গণজুড়ে উৎসব উদযাপনের কাজ চূড়ান্ত হয়েছে।
দু’সপ্তাহব্যাপী উৎসব আসরে থাকছে আভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা, এফএম রেডিও তে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচার, স্বেচ্ছায় রক্তদার কর্মসূচী এবং ন্যূনতম ৫০০ টাকার পণ্য ক্রয়ে র্যাফেল কুপন। র্যাফেল ড্রয়ে থাকছে ৭টি আকর্ষণীর পুরস্কার। উৎসব শেষ হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর।
উল্লেখ্য, আগামী ১ অক্টোবর র্যাফেল ড্রয়ের পুরস্কার বিতরণ করা হবে বলে জানান বিসিএস কমপিউটার সিটি কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন আহমেদ লাভলু। প্রচার প্রকাশনা ও জনসংযোগ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধ করতে বিসিএস কমপিউটার সিটি শুরু থেকেই কাজ করে আসছে। আগামী দিনেও একই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে তারা কাজ করে যাবেন।
বিসিএস কমপিউটার সিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক এএনএম কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, দেশে কমপিউটার বাজার সৃষ্টি ও সম্প্রসারণে বিসিএস কমপিউটার সিটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন হিসেবে কাজ করেছে। কমপিউটার মার্কেট বলতেই বিসিএস কমপিউটার সিটি আজ দেশজুড়ে সুপরিচিত। এ সুনাম আর খ্যাতি ধরে রাখতে তারা ক্রেতাবান্ধব ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরিতে ভবিষ্যতেও কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় রক্তদান কর্মসূচী, দুপুর ১টা ৩০মিনিটে বিশেষ দোয়া, বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষ সন্ধ্যায় হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ উৎসব আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করছে বেলকিন, ই-সফট অ্যান্টিভাইরাস, ফুজিৎসু ও নরটন অ্যান্টিভাইরাস।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ০৩১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১০