কাজের ধরন এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধে চাই ব্যবহারবান্ধব কমপিউটার মনিটর। তবে নিজের পছন্দ আর প্রয়োজনের সমন্বয় করতে খানিকটা বেগ তো পেতেই হয়।
তবে ব্যবহারিক জ্ঞান আর চৌকস হলে এ সমস্যারও আছে সহজ সমাধান। এজন্য বাংলানিউজে যুক্ত হলো ‘জার্নি টু মার্কেট’ বিভাগ।
কমপিউটার ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে মনিটর ক্রয়ে ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হবে কিছু সুনির্দিষ্ট পরামর্শ। কমপিউটারের মনিটর ক্রয়ের প্রথমেই ঠিক করে নিতে হবে নিজের পছন্দ এবং কি কাজে ব্যবহারের জন্য মনিটরটি ক্রয় করা হবে।
কারণ বাজারে আসা নতুন মনিটরগুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা না থাকলে একদিকে যেমন আর্থিক অপচয় হবে, অন্যদিকে ক্রেতার দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে বিক্রেতারা তাদের পছন্দই চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। বিক্রেতার উদ্দেশ্য থাকে তার পুরনো এবং চাহিদাহীন পণ্যটিই আগে বিক্রি করা।
অধিকাংশ মনিটর ক্রেতই বেখেয়ালে তেমন কোনো যাচাই-বাছাই না করে বাহ্যিক চাকচিক্যকেই প্রাধান্য দিয়ে বসেন। যদিও ভাল মনিটর কেনার জন্য আকৃতির গুরুত্বও আছে। তবে এটাই মূখ্য বিষয় হতে পারে না। তাই আরও ভালোভাবে মনিটরের ভেতর-বাহির সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা সচেতন ক্রেতার প্রাথমিক দায়িত্ব। সুনির্দিষ্ট কিছু ব্যাখ্যার সঙ্গে কি কাজে কোন ধরনের মনিটর কেনা প্রয়োজন তা তুলে ধরা হলো।
কিছু বিষয় আছে যা আপনাকে মনিটর কেনার সময় না ভাবলেও চলবে। ঠিক তেমনই একটি বিষয় হলো মনিটরের ডাইনামিক কনট্রাস্ট রেশিও। প্রতিটি নির্মাতা তার আগের মডেলের তুলনায় অপেক্ষাকৃত নতুন মডেলে কনট্রাস্ট রেশিও বাড়িয়ে তৈরি করে। প্রকৃতপক্ষে মনিটরের জন্য এ বিষয়টি বর্তমানে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
ডাইনামিক কনট্রাস্ট রেশিও এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমে মনিটরকে পুরোপুরি সাদা বা কালো করার মাধ্যমে পরিমাপ করে দেখা হয়। এর মধ্যে দিয়ে কি পরিমাণ আলো প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে পিকচার কোয়ালিটিতে তেমন কোনো তারতম্য চোখে পড়ে না। আরেকটি হচ্ছে মনিটরের রেসপন্স টাইম। যার মাধ্যমে দেখা হয় একটি পিক্সেল কত দ্রুত রঙ পরিবর্তন করতে পারে। সাধারণত ১২ থেকে ১৫ মিলিসেকেন্ড রেসপন্স টাইমের মনিটরে ভিডিও গেম খেলা ও সুন্দর ছবি দেখায় আদর্শ বলে বিবেচিত।
সাধারণ ব্যবহারে ...
যারা সাধারণত ইন্টারনেট, অল্প-স্বল্প অফিসিয়াল কাজ, মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার যেমন ছবি দেখা ছাড়াও অন্য সব বিনোদনের কাজে পার্সোনাল কমপিউটার কিনবেন বলে ভাবছেন। তারা তাদের বাজেট আর ঘরের জায়গা বুঝে যে কোনো ধরনের মনিটরই কিনতে পারেন।
তবে গেম খেলা আর ছবি দেখার জন্য ১৯ ইঞ্চি প্রশস্ত পর্দার মনিটরই সবচেয়ে ভাল। যদি ভিডিও চ্যাটিং করতে চান তাহলে বিল্টইন ওয়েবক্যামযুক্ত মনিটর কেনা উচিত।
অনেককেই খুব অল্প জায়গার মধ্যে কমপিউটার ব্যবহার করতে হয়। তাদের জন্য বিল্টইন স্পিকারযুক্ত মনিটর সবচেয়ে উপযোগী। যদিও খুব মানসম্মত সাউন্ড কোয়ালিটি পাওয়া যাবে না। তবে গান শোনা, ইউটিউবের ভিডিও দেখাসহ গুগল টক এ ধরনের অ্যাপলিকেশনগুলোর ব্যবহার করা যাবে বেশ সহজেই।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১০